দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কাউকে হ্যাস্তন্যাস্ত বা হয়রানি করা উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই সত্য উদ্ঘাটন হোক। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে প্রকাশিত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে বলেন,  কাউকে হ্যাস্তন্যাস্ত করছি না। এখানে মানি লন্ডারিং হয়েছে কিনা বা অর্জিত সম্পত্তি অবৈধ কিনা সবার জানা দরকার। তিনি  বলেন, এটা একটা অনুসন্ধান। এর মাধ্যমে চাই সত্য উদ্ঘাটিত হোক।  দেশের সবকিছু আইন অনুযায়ী চলুক। আমরা অবৈধ অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের বিষয় দেখছি। সংবিধান বলেছে, আপনি অবৈধ সম্পদ অর্জন কিংবা ভোগ করতে পারবেন না। এ জন্য দুদক একটি এসেট রিকভারি ইউনিট করেছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অনেক চলমান অবৈধ সম্পত্তির মামলায় দুর্ভাগ্যক্রমে ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মামলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ওই সম্পদ ঠিকই রয়ে যায়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এই ইউনিট গঠন করেছি। যে কোনো অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদকের কর্তব্য আছে। পানামা পেপারসে নাম না থাকা সত্ত্বেও দুদক ডেকে হয়রানি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি আমি বলতে পারব না। অনুসন্ধানী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। আমার কাছে অনেক বিষয় থাকে, আপনারা অনুসন্ধানী কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, পানামা-প্যারাডাইসের বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের নজরে এসেছে। মিডিয়াতে এলে সে বিষয়টি উপেক্ষা করা মুশকিল। এর আগে গত সোমবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা বলেছেন, ‘পানামা পেপারসে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। আপনারাও ওয়েবসাইডে গিয়ে  দেখতে পারেন। এটা জাস্ট হ্যারাসম্যান্ট।’ দুদক উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁঞার  নেতৃত্বে একটি টিম সকাল সোয়া ৯টা  থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।