শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা আজ

নির্বাচনী গাইডলাইন দেবেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি জানান দিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দল ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার ‘গণসংবর্ধনা’কে কেন্দ্র করে এই বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের স্লোগান তুলে ধরে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে ঢাকার রাজপথ। সাজানো হয়েছে নানা সাজে। সংবর্ধনাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। করা হবে নান্দনিক শোডাউন। সবুজ গেঞ্জি-ক্যাপ পরিহিত যুবলীগ দক্ষিণের ৩০ হাজার নেতা-কর্মীর হাতে থাকবে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার রঙিন ছবি। আজ নাগরিক সংবর্ধনা থেকে জাতীয় নির্বাচনের গাইডলাইন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উন্নয়ন ও অর্জনে অসাধারণ অবদান রাখায় তথা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উেক্ষপণ, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং সর্বশেষ ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন করায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। গণসংবর্ধনায় দলের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সম্মাননাপত্র পাঠ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনার বিভিন্ন বয়সের ১৬টি ছবি এঁকেছেন চিত্রশিল্পীরা। এসব ছবি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্যান্ডেলে শোভা পাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ সংবর্ধনা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণসংবর্ধনা। তিনি বলেন, গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি (শেখ হাসিনা) নেতা-কর্মীদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এবারে গণসংবর্ধনায় হয়তো তিনি জনগণের উদ্দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে বার্তা দেবেন।

জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলমান বিভিন্ন জনসভার ধারাবাহিকতায় ঢাকায় এ জমায়েতের পরিকল্পনা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও আজ শোডাউনের জোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর জন্য তারা ইতিমধ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। গত রাতেই সারা দেশ থেকে অনেক লোক চলে আসেন রাজধানীতে। আর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার লোকজন আজ সকালে আসা শুরু করবেন।

ক্ষমতাসীন দল মনে করে, দেশের এসব অর্জন ও উন্নয়নের একমাত্র অধিনায়ক শেখ হাসিনা। উন্নয়নশীল দেশের যে যাত্রা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বলেই তা সম্ভব হয়েছে। দলনেতার এসব কৃতিত্বকে স্মরণীয় করতে গণসংবর্ধনার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণ থাকবে নজিরবিহীন। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে মঞ্চ, মাঠ ও আশপাশের সাজসজ্জা করা হয়েছে। সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ যুবলীগ। দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বেশ কয়েক দিন ধরে দলীয় নেতা-কর্মীদের এ বিষয়ে সংগঠিত করছিলেন। যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে থাকবে শেখ হাসিনার রঙিন ছবি। তিনি সভামঞ্চে আসার পর ছবিগুলো দোলানো হবে।

সর্বশেষ খবর