শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
জাতিসংঘে আলোচনা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে জানে বাংলাদেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

নিউইয়র্ক জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে জানে বাংলাদেশ’। তিনি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে (এইচএলপিএফ) কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদানকালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কীভাবে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে তা বর্ণনার এক পর্যায়ে এ কথা বলেন। খবর

এনআরবি নিউজ। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘এর সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। এমডিজি বাস্তবায়নের সফল অভিজ্ঞতা নিয়েই এসডিজি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। আমরা এসডিজির লক্ষ্যসমূহকে দেশের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে একীভূত করেছি। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায় থেকে এসডিজির বাস্তবায়ন সমন্বয় করা হচ্ছে, আর এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এসডিজির প্রতি আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার কতটা দৃঢ়’। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘সমাজের সবাইকে সম্পৃক্ত করে এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। রাষ্ট্রদূত মাসুদ উল্লেখ করেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে প্রথম আনুষ্ঠানিক দলিল হিসেবে বাংলাদেশে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের জন্য লক্ষ্য নির্দিষ্ট মানচিত্র প্রস্তুত করেছে। এ ছাড়া জাতীয় কর্মপরিকল্পনাও প্রস্তুত করা হয়েছে। এসডিজি ও অন্যান্য জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যের বাস্তবায়ন নিরীক্ষণের জন্য একটি ডেটা সংগ্রহস্থল তৈরিতে এসডিজি ট্র্যাকার সৃষ্টি করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এ পরিণত করতে আমরা ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছি’। বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নে ‘পুঁজির সরবরাহ’, ‘ডেটা গ্যাপ’, ‘চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রেক্ষাপটে বৈষম্য মোকাবিলা ও উপযুক্ত চাকুরির বাজার সৃজন’ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহের কথা উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব বাংলাদেশের কৃষি খাত ও খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে মর্মেও উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন খাতে ব্যাপক সংস্কারের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে যাতে নতুনভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সুবিধা আমরা গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু এতে বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন’। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। এলডিসি থেকে উত্তরণ টেকসই এবং এসডিজির বাস্তবায়ন সফল করতে উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদারদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর