নোয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্র ও যুবদলের অন্তত ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও লাঠিচার্জ করে। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা এ হামলার ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দায়ী করেছে। প্রত্যক্ষদশীরা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বিকালে নোয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে অ্যাডভোকেট আ. রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ চলছিল। সভার শেষ পর্যায়ে একদল সন্ত্রাসী সমাবেশে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। আহতরা হচ্ছেন সোহাগ, সজিব, শাহাদাত, রাজীব হোসেন, জাবেদ, রাশেদ, মাহামুদুল হাছান, বিপ্লব, মনসুর হাছান, রনি, মিজান প্রমুখ। সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, হাতাহাতি হয়েছে, তেমন বড় কিছু নয়। তবে বিএনপির লোকজন এটাকে বাড়িয়ে রাজনীতি করছে। গুলিবর্ষণের বিষয়টি সত্য নয় বলেও তিনি জানান। জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এতে ছাত্র ও যুবদলের ২০-২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তিনি বলেন এসব হামলা-মামলা করে কাজ হবে না। অবিলম্বে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সরকার পদত্যাগ করে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নচেৎ গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
