সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন না দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা

ওয়ান-ইলেভেনের সেই ১২৩২ কোটি টাকা ফেরত পাননি ব্যবসায়ীরা

রুহুল আমিন রাসেল

ওয়ান-ইলেভেনের সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত না পাওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন না। অনেক বিনিয়োগকারী বিষয়টিকে এখনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা  হিসেবে দেখছেন। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন— ব্যবসায়ীরা টাকা ফেরত না পেলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে না আসায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে কমপক্ষে ১০ বছর। কোনো কারণ ছাড়াই সে সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১২৩২ কোটি টাকা অবৈধভাবে তুলে নিয়েছিল তখনকার সরকার ও তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সংস্থা। এতে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। এখনো হতাশার মধ্যে রয়েছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। সূত্রমতে, ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল— গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যবসায়ীরা তাদের অর্থ ফেরত পাবেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অর্থ ফেরত না দিয়ে বরং বাংলাদেশ ব্যাংক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বার বার আপিল করে চলছে। এতে বছরের পর বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেছেন, একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া জরুরি ছিল। কিন্তু টানাপোড়েন তৈরি করে এই অর্থ প্রদান না করা দুঃখজনক। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠান ছিল পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। শেয়ারবাজারে সাধারণ মানুষও বিনিয়োগ করেছিলেন এসব প্রতিষ্ঠানে। এতে সাধারণ মানুষের লগ্নিও ক্ষতিগ্রস্ত। শুধু তাই নয়, নতুন করে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখনো শঙ্কায় রয়েছেন। অনেকে ফেরত দিতে পারেননি ব্যাংকের টাকা। কেউ কেউ ঋণখেলাপি হয়েছেন বড় আকারে। কেন ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ প্রদান বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা অপার রহস্য। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের রায়ে তিন মাসের মধ্যে ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরে এই রায় রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার আবেদন হয়েছে আপিল বিভাগে। এ প্রসঙ্গে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের নির্যাতনের শিকার ও ভুক্তভোগী দেশের অন্যতম জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর আলী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টাকা তো চাপ দিয়ে নিয়েছে। কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নেয়নি। কর ও ভ্যাট নিয়েও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর কোনো সমস্যা পায়নি। পরে আমরা তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আদালতে গিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্টদের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। এখন রিভিউর রায়ের অপেক্ষায় আছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ওই টাকার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অধিকার নেই, তারা শুধু রক্ষক। বরং ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের। এখন সরকার আইন অবমাননা করছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সর্বোচ্চ। এ রায় অবমাননা করা ও অস্বীকার করা আইনের শাসনের পরিপন্থী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় নেওয়া টাকা ফেরত পেলে বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে ব্যবসায়ীদের। কারণ, বল প্রয়োগ করে টাকা নেওয়া অন্যায়। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাবেন। সূত্রমতে, ব্যাপক দমন-পীড়ন, গ্রেফতার ও নির্যাতনের মাধ্যমে মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের বিতর্কিত ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নেওয়া সেই ১২৩২ কোটি টাকা বিগত ১০ বছরেও ফেরত পাননি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। যদিও ওয়ান- ইলেভেনের সময়ে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আজও কোনো অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে প্রমাণিত হয়নি। বরং বার বার প্রমাণিত হয়েছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুল ছিল। সেই সময়ে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা প্রচারণার শিকার ছিলেন। শুধু হয়রানি ও অর্থ আদায় করতে মামলা করা হয় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। ওই টাকা ফেরত না দিয়ে সরকার প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছে। ওই টাকা ফেরতে আদালতের রায়ের বাস্তবায়ন চায় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই।

এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সময়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে জুলুম করে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। আদালতের রায়ে সবার আস্থা রাখা উচিত। ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, জোরজবরদস্তি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নেওয়া সেই ১২৩২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গত মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ওই টাকা ফেরত চেয়ে আসছেন সে সময়ের নির্যাতিত ব্যবসায়ীরা। এরপর দীর্ঘ ১০ বছরেও ওই টাকা ফেরত না পেয়ে হতাশ তারা। ব্যবসায়ীরাও মনে করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে আপিল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক টাকাগুলো প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেওয়া। কিন্তু সরকার তা না করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। সর্বশেষ আপিল বিভাগও ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। তারা আরও বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ওই টাকা ফেরত দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। জানা গেছে, ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত একটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং তৎকালীন টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্টস (টিএফআই) কর্মকর্তারা প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা আদায় করে। এই টাকা দুই শতাধিক পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ০৯০০ নম্বর হিসাবে জমা হয়। শুধু টাকা আদায়ই নয়, অনেক ব্যবসায়ী তখন জেলও খাটেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গত মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময় মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই এভাবে অর্থ আদায়ের ওই ঘটনাকে অনৈতিক এবং বেআইনি বলে মন্তব্য করেছিলেন। এর মধ্যে ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বিষয়ে পৃথক ১১টি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিভিন্ন সময়ে হাই কোর্টের দেওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ রায় দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বর্তমানে ওই টাকা কী অবস্থায় আছে— জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টাকাগুলো কীভাবে আছে, তা সরকার জানে। তবে চলতি হিসাবে টাকাগুলো জমা হওয়াতে এ টাকার কোনো সুদ হয়নি। টাকাগুলো সরকার ফেরত দেওয়ার চিন্তা করতে পারে বলে মত দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, ১/১১ সরকারের সময় ব্যবসায়ীদের জরিমানার নামে শুধু হয়রানিই করাই হয়নি, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনও করা হয়। সেই নির্যাতনের বিচার ও জোর করে নেওয়া অর্থ ফেরত চান ভুক্তভোগীরা। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন দেশের অন্যতম জনশক্তি রপ্তানিকারক ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর আলী। তার দাবি, মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার অন্যায়ভাবে ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নুর আলীর ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, তিনি বন্দুকের নলের মুখ থেকে জীবন বাঁচাতে ওই সময়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ওই সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সন্ত্রাসীমূলক আচরণ করা হয়েছে। কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ১/১১ সরকার ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল জেমস ফিনলের কাছ থেকে আদায় করে ১১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ওই টাকা ১৬টি পে-অর্ডার বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের কনসোলিটেড ফান্ডে প্রথম জমা দেওয়া হয়। এরপর ২২ এপ্রিল একই প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে আরও ১২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। একই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে দেড় বছর ধরে বিভিন্ন তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের সংশ্লিষ্ট হিসাবে টাকা জমা হয়েছে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ছাড়াও ‘অজানা’ উল্লেখ করে সেনাসমর্থিত সরকারের প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা চার দফায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন নামে-বেনামে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শওকত চৌধুরীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ৬১৫ কোটি টাকা ফেরতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় : সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় ২০১৭ সালের ১৫ মে প্রকাশিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, রিট আবেদনকারীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জোর করে আদায় করা এসব অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমন ভয়ানক বিপদও। দেশ থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ওই টাকা সংশ্লিষ্টদের ফেরত দিতে পারত। কিন্তু কী কারণে তা আটকে রেখেছে তা বোধগম্য নয়। ভবিষ্যৎ ট্যাক্স আদায়ের জন্য ওই টাকা রেখে দেওয়ার যুক্তি আমাদের অর্থনৈতিক আইনে সম্পূর্ণ অজানা। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য করা হয়েছে। আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদন খারিজ করে দেয়। ৮৯ পৃষ্ঠার রায়টি লিখেছেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি নিজে।

রায়ে আদালত বলেছে, কোনো আইন ছাড়াই অবৈধভাবে জনগণের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে আদালতের নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। হাই কোর্ট যথাযথভাবেই টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে আইন করার প্রয়োজন নেই। জোর করে আদায় করা এ টাকা ডিজিএফআইর এক কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখার জন্য পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে এই টাকা উদ্ধারের বৈধতা দিতে চেষ্টা করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

ওই রায়ে আরও বলা হয়েছে, ডিজিএফআই দেশের একটি স্বাধীন সংস্থা এবং নির্বাহী বিভাগ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ আলাদা। নির্বাহী বিভাগের মতো তারা কাজ করতে পারে না। আবার বেআইনি কাজও তারা বৈধতা দিতে পারে না। রায়ে বলা হয়, কোন ক্ষমতাবলে এবং কীভাবে তারা টাকাগুলো উদ্ধার করে বা জোরপূর্বক নেয় তার ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সরকার নীরব থেকেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তার প্রধান নির্বাহী এ অনৈতিক ও অমানবিক কাজকে সমর্থন করেছে।

সর্বশেষ খবর