শিরোনাম
সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস

রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন রাষ্ট্র নেই, এটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। আজকে পুলিশ চলছে আওয়ামী লীগের নির্দেশে এবং দুঃখজনকভাবে বিচারাঙ্গনকেও তারা প্রায় দখল করে ফেলেছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে এই কথাটা পৌঁছাতে চাই যে, এদেশে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে।’ গতকাল বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেন। এ সময় তিনি কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। যৌথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান যখন আদালতের কাছে প্রটেকশন চান, কোর্ট থানায় ফোন করে এবং ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলে। ওসি সেখানে এসে উপস্থিত হননি। এরপর একেবারে উচ্চ মহল পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সরকারের পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আদালতে যে ওসি থাকেন তিনি মাহমুদুর রহমান সাহেবসহ অন্যদের বলেছেন যে, আপনারা বাইরে আসেন, বের হন। যাকে বলা যায় যে, জোর করে বের করে ওই সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আক্রমণ করা হয়েছে। বিশেষ করে মাহমুদুর রহমানকে মাথায় আঘাত করেছে। সেখানে অন্য যারা ছিলেন তারা আহত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাননি।

সর্বশেষ খবর