বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৭৫-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সব নেতাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের নাম-পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন বঙ্গবন্ধুর নামে স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছি। কোনো সরকারই এখন এই নাম মুছে ফেলতে পারবে না। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উেক্ষপণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুর ও বেতবুনিয়াতে গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির উদ্বোধন করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বক্তৃতা করেন। জয় বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইন উেক্ষপণ পিছিয়েছিল। কারণ ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে স্যাটেলাইট উেক্ষপণ করার। আমরা সেটি করতে পেরেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আমার লক্ষ্য ছিল সমগ্র বাংলাদেশে আমরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাব। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ফাইবার অপটিক দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে আমরা স্যাটেলাইট দিয়ে ইন্টারনেট পৌঁছে দেব। দ্বীপাঞ্চলগুলোতেই আমরা ইন্টারনেট দেব। সেটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্ভব। 

স্যাটেলাইটের সুবিধা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় দুটি সরকারি গণমাধ্যম ছিল। আওয়ামী লীগ আসার পর দুই-তিনটি বেসরকারি চ্যানেল দেই। ২০০৯ সালে এটি উন্মুক্ত করে দেই। কতটি টেলিভিশন চ্যানেল আছে জানা নেই, কারণ প্রতি বছর নতুন নতুন চ্যানেল হচ্ছে। আমরা আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠছি। আমরা এখন আর দরিদ্র দেশ নই। আমাদের স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য ছিল টেলিভিশনগুলো এর সুবিধা পাবে।

সর্বশেষ খবর