নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থনের তীব্র সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের নিজেদের কিছু করার ক্ষমতা সক্ষমতা নেই। আর উপায় নেই বলে তারা এখন কোটার ওপর ভর করবে, ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর ভর করবে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা যানবাহন থামিয়ে যেভাবে লাইসেন্স দেখতে চাইছে বা সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করছে তা নতুন কিছু নয়। আমি মন্ত্রী কি চেকিং করিনি আপনাদের (সাংবাদিক) নিয়ে, এটা কি কোনো দেশে করে? মন্ত্রী বলেন, আমি তো অলওয়েজ রাস্তায় ছিলাম। আমি অলওয়েজ এ কাজগুলো করেছি। এটা তো নতুন তারা দেখাচ্ছে এমন তো নয়। এটা দেখিয়েছি বাংলাদেশে আমি। আমি রাস্তায় গিয়ে এসব চেকিং শুরু করেছি। নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সহজ হবে মন্তব্য করে কাদের বলেন, আইন হলে ইমপ্লিন্টেশন করার লিগ্যাল বাইন্ডিং তো থাকে। যারা আইন মানতে চায় না তাদের মানতেই হবে। আইনটা দরকার, আইনটা হলে আমি বা যেই মন্ত্রী থাকুক ইমপ্লিন্টেশন করার শক্তি পাবে। সংসদের আগামী অধিবেশনেই এ আইন পাস করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালনা ও প্রতিযোগিতার মতো ঘটনার পাশাপাশি পথচারীদের পথচলার নিয়মও প্রস্তাবিত আইনে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ট্রাফিক রুল মেনে চলে সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব আছে। মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়ার সময় খেয়াল থাকে না, গাড়ি চাপা দিয়ে যাচ্ছে। সব বিষয়ই প্রস্তাবিত আইনে রয়েছে। আশা করি জনস্বার্থে আগামী কেবিনেট বৈঠকে আইনটি অ্যাপ্রুভ হয়ে সংসদে পাস হবে। সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।