রবিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

দিনভর উত্তেজনা সংঘর্ষ ধানমন্ডিতে

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা বদিউলের বাড়িতে ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনভর উত্তেজনা সংঘর্ষ ধানমন্ডিতে

রাজধানীর জিগাতলায় গতকাল বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ —রোহেত রাজীব

রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলায় একদল যুবকের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়। দিনভরই ছিল উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা। হামলা-পাল্টা হামলায় দুই পক্ষের আহতের সংখ্যা অর্ধশত বলে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল মধ্যরাতে হামলার শিকার হন বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে একটি নৈশভোজে অংশগ্রহণ শেষে গুলশানের কূটনৈতিক জোনের বাসভবনে ফেরার সময় তার গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালনের মেয়াদের শেষ সময়ে থাকা রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সেখানে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় ফেয়ারওয়েল ডিনারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, রাত সাড়ে এগারোটার দিকে রাষ্ট্রদূত বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই কতিপয় দুর্বৃত্ত গাড়ি ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এমনকি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঙ্কারও দিতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে রাষ্ট্রদূতের গাড়ির চালক আহত হন। তিনি বলেন, আহত চালক গাড়ি নিয়ে চলে যেতে সক্ষম হলে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ক্রমাগত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। জানালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়। তবে বাড়িতে থাকা ড. কামালসহ অন্যরা সুস্থ আছেন বলে জানান বদিউল আলম মজুমদার।

টানা সপ্তম দিনের মতো গতকালও রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, উত্তরা, মিরপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মগবাজার, পান্থপথ সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন চালিয়ে যায়। তবে ছাত্রবিক্ষোভের জেরে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে গতকালও পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। এতে চরম বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জিগাতলা গেটের সামনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নেয়। দুপুর ১টায় এক শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার ‘গুজব’ শুনে সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে কিছু শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের দিকে ছুটে যায়। এ সময় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে শিক্ষার্থীরা। তখন কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বের হয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি পিলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন কিছু বিজিবি সদস্যও। তারা উত্তেজিত যুবকদের থামানোর চেষ্টা করেন। আহত অনেকে স্থানীয় জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ও পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বিকাল পৌনে ৬টার দিকে আওয়ামী লীগ অফিসে কাউকে আটকে রাখা হয়েছে কিনা, তা সরেজমিন দেখে আসার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কয়েকজনকে নিয়ে আসা হয় দলীয় কার্যালয়ে। তারা সেখানে বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, ঘটনার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে পুলিশ ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। অন্যান্য দিনের মতো গতকালও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক ও ব্যাজ পরেই রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সময়ে শিক্ষার্থীরা গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স পরীক্ষা এবং লেন সাজাতে ব্যস্ত থাকে। যেসব গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রয়েছে, সেগুলো ছেড়ে দিয়েছে। বাকিগুলো আটকে দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। অনেককে হয়রানি করলেও গাড়ি ভাঙচুর করেনি শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে শাহবাগের মাঝখানে গোল হয়ে বসে বিক্ষোভ করতে থাকে ছাত্রছাত্রীরা। এ সময় তাদের কেউ কেউ যানবাহনের লাইসেন্স চেক করছিল। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাহবাগে বেলা সাড়ে ১১টায় সংহতি প্রকাশ করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিতচন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে শাহবাগগামী একটি গাড়ির (নম্বর এ জ ত-০১০৮) লাইসেন্স চেক করতে গেলে গাড়িটি ছাত্রদের সিগন্যাল না মেনে জোরে টান দেয়। শাহবাগ মোড় পার হলে পরে ছাত্ররা জাতীয় জাদুঘরের পাশে আটকে দেয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সজোরে আঘাত করে গাড়ির গ্লাস ভেঙে দেয়। কেউ কেউ গাড়ির ওপরে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ গাড়িটি থানার ভিতরে নিয়ে যায়। রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এইচ এম আজিজুল হক জানান, গাড়ির ড্রাইভার ও ভিতরে থাকা যাত্রী দুজনই সুইডেনের নাগরিক। তাদের কাছে লাইসেন্স ছিল না বলে জোরে গাড়ি চালিয়ে দেন। বেলা ১১টার দিকে সাতরাস্তার লাভ রোডে বিক্ষোভে নামে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা ও লেন অনুযায়ী গাড়ি সাজিয়ে সুশৃঙ্খল করতে থাকে। নিরাপত্তার অজুহাতে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো দূরপাল্লার বাস। মহাখালী, কাকলী, কুড়িল ও উত্তরার আশপাশের এলাকায় চলতে দেখা যায়নি কোনো গণপরিবহন। সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে। ফলে বেশি ভাড়া দিয়ে অফিস ও নিজ গন্তব্যে পৌঁছে অনেকে। সাধারণের জন্য গুলশান ও হাতিরঝিল এলাকায় ‘ঢাকা চাকা’ এবং চক্রাকার বাস দিনভর চলাচল করতে দেখা গেছে। মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহনশ্রমিকরা জানান, গাড়ি সংকট থাকলেও শুক্রবার রাতে দূরপাল্লার বাস চলাচল করেছে। গতকাল দিনে না চললেও রাতে টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ার নির্দেশনা রয়েছে।

মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে সকাল ১০টার পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মিরপুর ১ নম্বরের দিকে যায়। পরে ওই চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর-২ নম্বরে রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় স্থানীয় কিছু যুবক তাদের ধাওয়া করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রাস্তা ছেড়ে ১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান করে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি সমাপ্ত করে। আজ সকাল ১০টায় আবারও মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থানের কর্মসূচি দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে ওই এলাকার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখরিত করে পুরো এলাকা। ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে ইমারজেন্সি লেন হিসেবে বিক্ষুব্ধরা রাস্তার এক পাশ ছেড়ে দেয়। থেমে থেমে কিছু গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স পরীক্ষা করতেও দেখা যায় তাদের। সেখানে গণপরিবহন না থাকায় রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য মানুষকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পুলিশের উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহেদ ফেরদৌস জানান, সকালে হাউস বিল্ডিং এলাকায় জড়ো হতে থাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে ধীরে ধীরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীদের টানা এই আন্দোলনে সকাল থেকেই মতিঝিল, কমলাপুর, টঙ্গী ও গাজীপুরের জয়দেবপুরগামী মানুষের ঢল নামে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। এ সময় রেলস্টেশনের প্লাটফরমে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, কয়েক দিন ধরেই শুধু বিমানবন্দর স্টেশনে নয়, কমলাপুরেও মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবাই বলছেন যেভাবেই হোক যেতে হবে। সকাল থেকেই মহাখালী, কাকলী ও শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনের এলাকায় তেমন কোনো বিক্ষোভ দেখা যায়নি। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বিক্ষুব্ধ কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে। এসব এলাকায় শিক্ষার্থীদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন অনেক বেশি তৎপর। বেলা পৌনে ১২টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বারিধারা নতুন বাজার, নর্দ্দা এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। গুলশান কমার্স কলেজ, ক্যামব্রিয়ান কলেজ ও গ্রিন ভিউ স্কুলের শিক্ষার্থীরা সড়কে দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ও লাইসেন্স পরীক্ষা করতে থাকে। পাশাপাশি তারা লেনভিত্তিক রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস সারিবদ্ধভাবে সাজাতে থাকে। নর্দ্দায় জড়ো হয়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করতে থাকে নর্থসাউথ ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা কয়েকটি সিমেন্ট কোম্পানির রেডিমিক্স গাড়ি ও তেলবাহী ট্যাঙ্কার থামিয়ে রাখে।

রাস্তা ছাড়তে ছাত্রলীগের মিনতি, লিফলেট বিতরণ : দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বাপন দাস শুভ্র ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলনরত ছাত্রদের অবরোধ তুলে নিতে নানাভাবে অনুরোধ করেন। কখনো কখনো ছাত্রদের কাছে হাতজোড় করে মিনতিও করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে থাকে না। ওরা আমাদের ছোট ভাই। তাই সেই অধিকার নিয়েই ওদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। পরে বিকাল ৪টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আতিক হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে তৈরি করা লিফলেট বিতরণ করে।

জাবিতে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সব প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালনের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করবেন বলেও জানান। এর আগে বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানীর জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। মিছিলে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর