মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকায় স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি

জুলকার নাইন

প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকায় স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি

মে. জে. (অব.) আবদুর রশিদ

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে অরাজনৈতিক পবিত্র আন্দোলনে নেমেছিল তার ফলেই নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে এই আইন পাসের কথা এলেও পরিবহন শ্রমিকরা নানানভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এবার সেটাও হয়নি। সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় ভূমিকার কারণেই শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা সড়ক নিরাপত্তা আইন মন্ত্রিসভা পাস করেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক নিরাপত্তার প্রস্তাবিত এই আইনটি বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। কিন্তু পরিবহনের চালক-মালিকদের বিরোধিতায় এটি পাস করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ আইন মন্ত্রণালয়ে এটি পড়েছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর এর প্রতি শতভাগ একমত পোষণ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এটি পড়ে থাকায় তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে দ্রুত মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের কথা বলেন। তার সেই উদ্যোগের কারণেই গতকাল মন্ত্রিসভায় পাস হলো আইনটি। আশা করা যায় শিগগিরই এটি সংসদে উঠবে এবং সেখানেও একবাক্যে পাস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আইন পাস করলে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের মতো পরিস্থিতিতে চলে যাবে বলে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তারাও বুঝতে পেরেছেন জনগণের মুখোমুখি হওয়া যাবে না। আর প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানও নিশ্চয়ই তাদের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে। মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অত্যন্ত সফল। তাদের জয় হয়েছে। রাস্তাঘাটে যে অনাচার চলছিল তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তারা। বিমানবন্দর সড়কে দুর্ঘটনার পর যখন আন্দোলন শুরু হলো তখন সাধারণ জনগণও সেখানে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু শেষে এসে কোমলমতি এই শিশুদের রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করার জন্য তাদের আন্দোলনে বড়দের অনুপ্রবেশ হয়েছে। যেসব রাজনৈতিক দল দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও রাজপথ দখলে নিতে পারেনি তারা শিশুদের ব্যবহার করতে চাইলেন। চেষ্টা চলতে থাকে শিশুদের রাস্তায় ধরে রাখার। এ জন্য তাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথাও আস্তে আস্তে বেরিয়ে এসেছে। এখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও বুঝতে পেরেছেন তাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি। তাই তারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। পরিবহন মালিকরাও রাস্তায় গাড়ি নামাতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সর্বশেষ খবর