মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

আমাকে গুলি করে মারা হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাকে গুলি করে মারা হোক

দেশে ‘গণতন্ত্র নেই, গুন্ডাতন্ত্র’ চলছে অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশে অসুস্থ শাসন ব্যবস্থা চলছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আজকে গুন্ডা লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা লাঠিসোঁটা নিয়ে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রী ও মানুষের ওপরে হামলা করে যাচ্ছে তাদের আমরা গুন্ডা ছাড়া আর কোনোভাবে চিহ্নিত করতে পারি না। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, গুন্ডামুক্ত বাংলাদেশ চাই আমরা। এই গুন্ডাতন্ত্রের মধ্যে  বেঁচে থাকতে চাই না। আমি চাই যে আমাকে গুলি করে মারা হোক। তাহলে অন্তত বলতে পারব গুন্ডাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মারা গেছি। এদের থেকে দেশকে মুক্ত করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে, ঐক্যবদ্ধ হোন। এই ঐক্যবদ্ধ মানুষকে গুন্ডা লেলিয়ে ধ্বংস করা যাবে না।’ গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেন এ মন্তব্য করেন। ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’ নামে একটি সংগঠন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ ও সংহতির এই সমাবেশ করে। গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পরিচালনায় সমাবেশে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, এস এম আকরাম, আবদুল মালেক রতন, ফয়জুল হাকিম, মোস্তফা আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ড. কামাল  হোসেন বলেন. ‘এ দেশের স্বাধীনতা লাভ করার জন্য লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে। যে স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দিয়ে যে রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনকে জীবন দিতে হয়েছিল, সে বাংলাদেশে গুন্ডাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এটা  মেনে নেওয়া যায় না। এই গুন্ডাদের কারা লেলিয়ে দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করুন। গুন্ডাদের থেকে এ দেশ মুক্ত হোক, আমার জীবনের বিনিময় হলেও হোক।’ অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘সরকার এখনো উপলব্ধি করতে পারছেন না। তারা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন আপনি কি মনে করেন এসব আইনসম্মত, ইজ এ জাস্টিস? শিক্ষার্থীরা বলছে, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। প্রতিটি পদক্ষেপ যখন জাস্টিসের বদলে অন্যায় হয়ে যাচ্ছে, অবিচার যখন আইন হয়ে যায়, রুখে দাঁড়ানো তখন কর্তব্য হয়ে পড়ে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে বুঝতে হবে আমরা সবাই মিলে যদি এর প্রতিবাদ না করি, এক কণ্ঠে যদি কথা না বলি তাহলে মনে হয় না এই সরকার বুঝবে। কারণ তাদের মূল শক্তি ইনজাস্টিসের ভিত্তিতে।’ বি চৌধুরী বলেন, ‘পরিবর্তন আনতেই হবে। এমন পরিবর্তন আনতে হবে যে পরিবর্তন সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা পরিবর্তনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি— সেখানে আমরা একসঙ্গে দাঁড়াব। ভারসাম্য রাজনীতি থাকতে হবে।’

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর