শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শহিদুলকে

নওশাবা আবার রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে থাকা দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম তার সরকারবিরোধী কার্যক্রমের নানা তথ্য দিচ্ছেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় এ তদন্ত সংস্থা। রাজধানীর রমনা থানায় করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গত সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহিদুলকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গতকাল ছিল তার রিমান্ডের চতুর্থ দিন। পুলিশের সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিক নির্যাতনের ইস্যুতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের একটি প্ল্যাটফর্মে এনে সরকারবিরোধী তথ্য প্রচারের পরিকল্পনা করেছিলেন শহিদুল। এর মাধ্যমে সরকারকে বিপাকে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে দেশি-বিদেশি কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে ই-মেইলে আলাপ-আলোচনাও চালিয়ে যান তিনি। গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে আসা আটক মিয়ানমারের দুই সাংবাদিককে মুক্ত করতেও বিশেষ তৎপরতা চালান শহিদুল আলম। কিন্তু ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে সাংবাদিকতা করায় এ নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে ছিল। তারপরও তাদের মুক্তির বিষয়ে নিজের উদ্যোগ নিয়ে জিইও ম্যাগাজিনের ডেপুটি ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ও হেড অব ফটোগ্রাফি লার্স লিন্ডম্যানসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ই-মেইল বার্তা আদান-প্রদান করেন। এ সময় তারা শহিদুলকে বাংলাদেশে ‘একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য’ এবং ‘বিশ্বস্ত’ মনে করেন বলে উল্লেখ করেন এক ই-মেইল বার্তায়। শহিদুল আলম ওই দুই সাংবাদিককে ছাড়িয়ে নিতে অনৈতিকভাবে পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালান।  ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন জানান, এখনো তিনি রিমান্ডে আছেন। রিমান্ড শেষে অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত বিষয়ে সবকিছু পরিষ্কারভাবে বলা যাবে। গত রবিবার রাতে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে বাসা থেকে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করে তার পরিবার। পরদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। 

দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে অভিনেত্রী নওশাবা : অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় নওশাবার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নওশাবার পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। ৫ আগস্ট একই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নওশাবার চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৪ আগস্ট রাতে উত্তরা থেকে কাজী নওশাবাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ওই দিন দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে জিগাতলায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রী নওশাবা বিকাল ৪টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন। ১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওর শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ বলছি, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে, দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর