বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমাকে চলতে হয়। আমি জানি, আমার চলার পথ কখনই খুব সহজ নয়। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।

গতকাল বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প : জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক (এন-৪) ৪-লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ২৩টি সেতু ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী জেলায় ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষের সুখ-সুবিধার জন্য যদি একটু ছোট কাজও করতে পারি তাহলে আমার আব্বার আত্মা অন্তত শান্তি পাবে। এটা আমার উপলব্ধি। এ ক্ষেত্রে দেশবাসীসহ সবার সহযোগিতা পাওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সড়ক এবং সংযোগ সেতুগুলো করতে পারছি।

এর ফলে আজকে শুধু বাংলাদেশ না, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের একটা দ্বার উন্মোচিত হলো।

দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতার আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার কথাটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই দক্ষিণ এশিয়ার উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছি। এটা ‘সাসেক’ হিসেবে পরিচিত। এই সাসেকের আওতায় একটা উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ তৈরি করা যার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ব্যবসা বাণিজ্য উন্নতি হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এই উন্নয়ন আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাবে। তিনি বলেন, এখন থেকে যতগুলো কাজ হচ্ছে (সড়ক-মহাসড়ক) তার পাশে আলাদা লেন করা হচ্ছে। সেগুলোতে স্থানীয় যানবাহন চলবে, যাতে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের যোগাযোগ করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা-বঙ্গবন্ধু সেতু করার সময় আমরা পাশে রিকশা-ভ্যান বা ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য লেন করেছিলাম। এসব রাস্তা করতে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনীর ৩৪ ও ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এবং কম খরচে এসব কাজ করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দ্বারসহ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের নতুন মাত্রাসহ আসন্ন ঈদ যাত্রায় স্বস্তির দ্বার উন্মোচিত হলো।

উদ্বোধনের পর জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের আওতায় ২৩টি ব্রিজ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এর ফলে ঈদযাত্রায় অনেকটা যানজটমুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পাবেন উত্তরবঙ্গসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ। প্রকল্পের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান। বক্তব্য শেষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর