আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে আবারও এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যারা বিরাজনৈতিকীকরণ করতে চেয়েছিল, তাদের সহযোগী ছিল মিডিয়ার একটি অংশ।
মিডিয়ার একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হটানোর চক্রান্ত করছে। গতকাল দুপুরে ইডেন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। ওবায়দুল কাদের বলেন, চক্রান্তে থাকা কিছু মিডিয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আক্রান্তদের আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের যে কর্মীর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, তাকে শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচার করেছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনিদেও দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ প্রচেষ্টা সফলও হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যে খুনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তাকে সরানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন সবুজ সংকেত দিয়েছে। কানাডায় মৃত্যুদণ্ড না থাকায় আইনি জটিলতার কারণে এ মুহূর্তে ওখানে অবস্থানরত খুনিকে আনা যাচ্ছে না। তবে আরেক দেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ৯০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুয়া জন্মদিন পালন করা একটা পাপ, একটা অপরাধ। স্কুলে, বিবাহে, পাসপোর্টসহ মোট পাঁচটি জন্ম দিবস। দেশের রাজনীতিতে কারও কারও আচরণ বঙ্গবন্ধুর হত্যার চেয়েও নৃশংস। বাংলাদেশে এ ধরনের নোংরা দৃষ্টান্ত যারা স্থাপন করেছে, তারাই আজ অগণতান্ত্রিকভাবে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাসলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
