বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বিপ্লবী সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেছেন, স্বাধীন দেশে শিক্ষার্থীদের রশি দিয়ে বেঁধে জেলে নেওয়া অন্যায়। তারা নিরাপদ সড়ক চেয়েছে, আমরা সবাই নিরাপদ সড়ক চাই। শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, পরিবহন খাতে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও মাফিয়া চক্র ঠেকাতে সরকার ব্যর্থ। সরকার যদি মাফিয়া চক্রের চাঁদাবাজি থেকে আমাদের রক্ষা করতে না পারে, তাহলে আমরাও সড়কে গাড়ি নামাব না। সড়কে বিশৃঙ্খলার দায়ে আসল গডফাদারদের গ্রেফতার না করলে সড়কে আবারও সাধারণ মানুষ নেমে আসবেন। তখন শুধু ছাত্র নয়, তাদের সঙ্গে শ্রমিক-চালকরাও নামবেন। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন খাত কখনই দুর্নীতিমুক্ত ছিল না। বর্তমান সরকার সড়ক পরিবহন সেক্টরে দুর্নীতি বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজদের দখলে যাওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। পরিবহন খাতের জন্য এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার শাসনামলেরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত খসড়া আইনে সড়কে মৃত্যুর জন্য পরিবহন মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিবির সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই মালিকরাই নানা সময়ে শ্রমিকদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। তাদের কারণেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ সড়ক নির্মাণের জন্য দায়ী সওজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে শ্রমিকদের নিয়ে নানা ‘ষড়যন্ত্র চলছে’ মন্তব্য করে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, একটি কায়েমি স্বার্থ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে এখন ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক-জনতাকেও একতাবদ্ধ হতে হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, শ্রমিক নেতা তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা এই সমাবেশে অংশ নেন।
