রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঈদে সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তা

বেনজীর আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহায় বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে গুগল ম্যাপের সহায়তা নিচ্ছে র‌্যাব। র‌্যাব সদর দফতরসহ প্রতিটি ব্যাটালিয়ন চার ঘণ্টা পরপর তাদের ফেসবুক পেজে হাইওয়ে, রেলপথ এবং নৌপথের আপডেট দেবে। লোকাল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং নৌপুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাব সদস্যরা নির্বিঘ্ন বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া দেশের প্রধান ঈদ জামাতগুলোতে এবং পশুর হাটগুলোতে র‌্যাবের বিশেষ নজরদারি থাকছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ঈদুল আজহার দিন, এর আগে ও পরে দেশজুড়ে দুই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে র‌্যাব। দেশজুড়ে এ বাহিনীর ২৪৫টি পেট্রোল টিম কাজ করবে এবং ৫৬টি স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। র‌্যাব হেডকোয়ার্টার সারাদেশের সব পথ এবং ১৪ ব্যাটালিয়ন ফেসবুক পেজে তাদের আওতাভুক্ত এলাকার আপডেট দেবে। প্রয়োজন মনে করলে জনসাধারণ আপডেট দেখে বের হতে পারেন।

গুগল ম্যাপের মাধ্যমে ওই সময়ে দেশের বিভিন্ন সড়কের ওই সময়কার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, রাজধানীর এক্সিট পয়েন্টগুলোতে ২০টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বড় বড় পশুর হাটগুলোতে র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। যেখানে ক্যাম্প  নেই সেখানে থাকবে র‌্যাবের পেট্রোল টিম। অজ্ঞান পার্টি-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে র‌্যাব তৎপর রয়েছে।

ঈদ জামাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিনাজপুর ও শোলাকিয়াতে বৃহত্তম দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া রাজধানীতে প্রধান জামাতসহ অন্যান্য ঈদ জামাতে র‌্যাবের নজরদারি থাকবে। ঈদ উপলক্ষে থ্রেট না থাকলেও সব ধরনের থ্রেটের বিষয় আমাদের মাথায় রয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড বা সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ঈদে সড়কে ১৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অযথা এসব প্রাণহানির কোনো কারণ নেই। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট থাকবে। যানবাহনের ওভারস্পিড, নিয়ন্ত্রণহীন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের নজরদারি করা হবে। ঈদের সময় হেলপারের হাতে গাড়ি না দিতে মালিকদের আহ্বান জানান র‌্যাব ডিজি। একই সঙ্গে খোলা ট্রাকে যাত্রী না তুলতে এবং এসব ট্রাকে যাত্রী না হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কক্সবাজারে বন্দুক যুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর একরামুল হকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী তদন্ত হচ্ছে। এ কারণে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে অনেকে কেবল গডফাদার-গডফাদার বলছেন। কিন্তু এমন অনেক ব্যক্তিকে দুই-আড়াই লাখ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হচ্ছে, যাদেরকে কেউ চিনেও না। ঈদের সময় মাদকপাচার বাড়তে পারে, সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে। কারও কাছে এ বিষয়ে তথ্য র‌্যাবকে জানানোরও অনুরোধ করেন তিনি।

গুজব নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আগে র‌্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে জঙ্গিবিষয়ক বিশেষ টিম ছিল। পরবর্তীতে মাদক এবং বর্তমানে প্রতিটি ব্যাটালিয়নে সাইবার পেট্রোলিং টিম গঠন করা হয়েছে। এর সার্বক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছে। উসকানি কিংবা গুজব রটিয়ে কেউ পার পাবার দিন শেষ।

সর্বশেষ খবর