শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

এমন মন্দার ঈদ আর আসেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এমন মন্দার ঈদ আর আসেনি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বিগত ১০ বছরে এমন মন্দার ঈদ আর কখনো আসেনি। দেশের মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। এক দিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। এক দশকের মধ্যে ঈদবাজারে এমন মন্দা ভাব আগে কখনো দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা দোকানে ঈদের সামগ্রী তুলে বিপাকে পড়েছেন। কারণ বেচা-বিক্রি একেবারেই বন্ধ। দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন চলছে, এর জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে গোটা জাতি আজ আতঙ্কিত, উৎকণ্ঠিত।’ গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. মামুন আহমেদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জবাবদিহির দিন ঘনিয়ে আসছে। ঈশান কোণে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে কালবৈশাখীর ঝাপ্টায় বিনা ভোটের এই সরকার হুড়মুড় করে পড়ে যাবে। তিনি বলেন, শুধু সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জাল নথির ওপর ভিত্তি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার বন্দী করে রেখেছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসা না দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, দেশের সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা এখন অবৈধ সরকারের নানা বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত, ক্ষতবিক্ষত। রাস্তাঘাটের বেহাল দশার জন্য ঘরমুখী মানুষ প্রচণ্ড দুর্দশায় পড়েছেন। চলমান দুঃশাসনের অবসান না হলে দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না, মিলবে না স্বস্তি। এ জন্য দরকার দেশে গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের সরকার। সত্যিকারভাবে মানুষ তার পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারলেই কেবল মিলবে এই মুক্তি।

এত দিন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অপহরণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা চলে আসছিল। এখন হামলা, মামলা, রিমান্ড, এমনকি তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ শিক্ষার্থীদের। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না শাসকগোষ্ঠীর হিংস  আক্রমণ থেকে। নিরীহ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীরা ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে ন্যায্য দাবিতে প্রতিবাদ করে এখন তারা কারাবন্দী। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কি কোনো অপরাধ? বেআইনি অস্ত্রে সজ্জিত হেলমেটধারী সরকারি দলের ক্যাডারের দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ কি ন্যায়সঙ্গত? তাদের নামে মামলা কেন হলো না? তারা কেন গ্রেফতার হলো না?

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, গত পরশু থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পুলিশ আজও অবরোধ তোলেনি। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় যুবদল ও ছাত্রদলের আটজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর