রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
এবার শুরু জোট যুদ্ধ ভোট যুদ্ধ

এরশাদের টার্গেট ১০০ আসন

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০০ আসনে বিজয় নিশ্চিত করতে নানা পরিকল্পনা করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলের দায়িত্বশীলরা মনে করেন, সুষ্ঠু ভোট হলে কোনো দলই এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারবে না। ১০০ আসনে বিজয়ী হতে পারলে অন্য কোনো বড় দলের সমর্থন নিয়ে জাতীয় পার্টি আগামীতে সরকার গঠন করতে পারবে।

জানতে চাইলে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা কত আসনে বিজয়ী হতে পারব তা সময় বলে দেবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে এককভাবে সরকার গঠন করা। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । সম্প্রতি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে। জাতীয় পার্টির দায়িত্বশীলরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে এবারও না এলে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। আর নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে ভোট করবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কাছেও কমপক্ষে ১০০ আসন চাইবে জাপা। এ ব্যাপারে ভিতরে ভিতরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনাও চলছে বলে জাপার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। দলীয় নেতাদের মতে, যদি শেষ মুহূর্তে এরশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এরশাদের জাতীয় পার্টি ও তার নেতৃত্বাধীন জোট কমপক্ষে ৭০ আসন পেতে পারে। সিলেট বিভাগেও কয়েকটি আসন চান এরশাদ। এ ক্ষেত্রে বৃহত্তর রংপুরে কমপক্ষে ১৫টি আসনে জাপাকে ছাড় দিতে হবে। দলের চেয়ারম্যান এরশাদ রংপুর-১ আসনের পাশাপাশি ঢাকা-১৭ ও লালমনিরহাটের আসনও জাপার পক্ষে ছাড়তে হবে আওয়ামী লীগকে। এ ছাড়া বিএনপির একটি অংশও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দলের চেয়ারম্যান আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের ও জোটের সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের ইতোমধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকায় জোর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, আমরা যত আসনই পাই না কেন, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে এমন প্রস্তাব যারা মানবে তাদের সঙ্গেই আমাদের নির্বাচন-পরবর্তী জোট হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর