রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বামদের কদর বাড়ছে আওয়ামী লীগে

বাদল নূর

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর কদর বাড়ছে আওয়ামী লীগে। দলগুলোকে কাছে পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে দলটি। জোট সম্প্রসারণের চেষ্টায় এবং জোট ধরে রাখতে বাম নেতাদের কাছে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাম দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে তাদের। বাম দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমান মিত্রদের ধরে রেখে জোটের বাইরের ছোট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এরই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১৪-দলীয় জোটকে বর্ধিত করার জন্য স্বাধীনতার পক্ষের ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ভোটের অঙ্কে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে জোটে ধরে রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এরশাদের সঙ্গে সখ্য রেখেই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে বর্তমান শরিক দলের মধ্যে রয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু), বাংলাদেশ জাসদ (শরীফ নূরুল আম্বিয়া), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দল (এমএল), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ (মোজাফফর), বাসদ (রেজাউর রশীদ খান), গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে থাকা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে একটি বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক জোট করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৭টি বাম রাজনৈতিক দল একটি মোর্চা গঠন করেছে। দেশে বামপন্থি রাজনৈতিক দলের সংখ্যা প্রায় দেড় ডজন বলে জানা গেছে। এসব জোট ও দলের সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জাতীয় জোট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোটকেও পাশে চায় আওয়ামী লীগ। সে লক্ষ্য সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে দলটি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাবেন কিনা— জানতে চাইলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে এবং সমঝোতার জন্য আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নিলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাতে আমরা সাড়া দেব।’ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনের জন্য আলোচনা করতে চাইলে আমরা তাতে সাড়া দেব। তবে এ বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর