শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিয়ানমার সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ ছয় জেনারেলের বিচার চায় জাতিসংঘ

গণহত্যা গণধর্ষণের অভিযোগ ফেসবুকেও নিষিদ্ধ তারা

প্রতিদিন ডেস্ক

মিয়ানমার সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ ছয় জেনারেলের বিচার চায় জাতিসংঘ

মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং ও নেত্রী অং সান সু চি —ফাইল ছবি

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র  জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং ও অপর পাঁচ শীর্ষ সেনা কমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। গতকাল এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে এ আহ্বানের পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জেনারেল মিনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।

জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ-সমর্থিত ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন বলেছে, উত্তর রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার জন্য সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াংসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদের অবশ্যই তদন্তের আওতায় এনে বিচার করা উচিত। রাখাইন, কাচিন, শান রাজ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য একই পদক্ষেপ চেয়েছে মিশন। প্রসঙ্গত, কথিত বিদ্রোহী দমনের নামে গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নৃশংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। এই অভিযানের মুখে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সেনা ও নজরদারিতে থাকা লোকজনের বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৭ সালের মার্চে এই মিশন গঠন করে। মিশনের প্রতিবেদনে এই বলে উপসংহার টানা হয়েছে যে, তদন্তের যৌক্তিকতা ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য যথেষ্ট তথ্য রয়েছে।

সেনাপ্রধানকে নিষিদ্ধ করল ফেসবুক : মিয়ানমার সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াংকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে রাখাইনে  রোহিঙ্গা সংকটের জন্য তাকে দায়ী করার পর এমন ব্যবস্থা নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। সেনাপ্রধান ছাড়াও আরও ২০ জন বার্মিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে ফেসবুক জানায়, ‘আমরা মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র  জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াংসহ ২০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করছি।’ তারা জানায়, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উত্তেজনা যেন আরও বৃদ্ধি না পায় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি আরও জানায়, ‘আমরা মিয়ানমারে ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছি। চলতি বছরের শুরু থেকেই মানবাধিকার বিবেচনা করে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করায় এটা আমাদের বিশাল দায়িত্ব। আমরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

সর্বশেষ খবর