বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগোচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগোচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষ আত্মসম্মান ও সমান অধিকার নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

গতকাল বিকালে গণভবনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মহোৎসব উপলক্ষে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট নেতাদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন আছে বলেই এত ষড়যন্ত্রের পরও আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছি। অথচ আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার জন্যই বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, শুধু এই ঘটনাই নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অসংখ্য হামলা হয়েছে। এমন কোনো হিন্দুবাড়ি ছিল না যেখানে আক্রমণ না করেছে। তারা কোনো কিছুই বাদ দেয়নি। সবার উপরেই আক্রমণ চালিয়েছে। বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর বেশি করে অত্যাচার করেছে। ঠিক একইভাবে বাবরি মসজিদে যখন হামলা হয় তখনো এখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-মাদক-অস্ত্র এগুলো যেন একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা প্রচেষ্টা চালিয়েছি, এই দেশে যেন শান্তি বজায় থাকে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ অর্থাৎ সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেন ছড়াতে না পারে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় যেন বাংলাদেশ গড়ে ওঠে। আর প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষ যেন নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারে এবং একটা সুন্দর পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারে— এই ব্যবস্থাটাই আমরা করতে চেয়েছি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

 সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা এই দেশের মানুষ, এদেশের সন্তান। এই মাটি আপনাদের। এখানে আমার-আপনার বলে আলাদা কিছু নেই। সবক্ষেত্রে আপনারা সমান অধিকার ভোগ করবেন। গত বছর সারা দেশের ৩৩ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত পূজা বাংলাদেশে অতীতে কখনো হয়নি। তিনি বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি, প্রত্যেকটা ধর্মীয় উৎসবই যেন একটা আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। কারণ আমাদের স্লোগানই হচ্ছে— ধর্ম যার যার উৎসব সবার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি ধর্মীয় উৎসবে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই কিন্তু এক হয়ে উৎসব উদযাপন করে, এই এরকম সুন্দর একটা পরিবেশ আমরা বাংলাদেশে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। অনুষ্ঠানে সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার। সনাতন ধর্মের নেতাদের মধ্যে বিমল কান্তি দত্ত, গৌরাঙ্গ দে, দেবাশীষ পালিত, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, সুব্রত পাল, বিমল কান্তি দে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর