বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

আন্দোলনে খালেদাকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাব : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্দোলনে খালেদাকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাব : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। এ কারণে যত রকমের দুষ্টমি আছে, তার সবগুলোই সরকার করছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাব। বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, সরকারের দুঃশাসন আর অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে। তখন সরকারের তাসের ঘর ভেঙে যাবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে ইভিএম চলবে না। কিন্তু সরকার নাকি ইভিএম আমদানি করবেই। মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে। গণমাধ্যমের প্রতি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছি। দু-একটি পত্রিকা ছাড়া কেউ আগ্রহ দেখায়নি। আমরা জানি, গণমাধ্যমকে পেছন থেকে আটকে দেওয়া হয়েছে। জনগণ এগুলো মনে রাখবে।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি দীর্ঘদিন কোনো কর্মসূচি কেন নিচ্ছে না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিনই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। অপেক্ষা করুন। সময়মতো দেখতে পাবেন কেমন কর্মসূচি আসে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আরও জোরালো কর্মসূচি আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক প্রতিকূল অবস্থা পার করে আজ এ অবস্থানে এসেছে। কাজেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু ভাবার সুযোগ আর নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথম শর্ত বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারপর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ফের জোর করে ভোটারবিহীন নীল নকশার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়, তাহলে জনগণের প্রতিরোধে তাদের ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাবে। তিনি বলেন, বিএনপিকে বিভিন্ন সময়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সরকারও গত দশ বছর ধরে বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বরং তারা নিজেরাই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি : আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করা হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

 সারা দেশে দলের প্রতিটি ইউনিটকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যৌথসভায় দল ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর