সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র আছে, ষড়যন্ত্র থাকবে। নির্বাচন হবেই। কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারও শক্তি নেই নির্বাচন ঠেকানোর। তিনি বলেন, কারও হুমকিতে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। কাজ করতে হবে। যতক্ষণ  দেহে শ্বাস আছে ততক্ষণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

গতকাল বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নেপালে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যের পর তিনি এক ঘণ্টা তিন মিনিট সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ যন্ত্র নিয়ে তাড়াহুড়ার কিছু নেই। এটি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়ও নয়। তবে আমাদের পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে দেখতে হবে। সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পরিষ্কার বলে দেন, বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, হুঙ্কার দিচ্ছে। ভালো। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসব না। কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আমি গ্রেফতার করিনি। এতিমের টাকা মেরে খাওয়ায় তাঁর সাজা হয়েছে। এখন তাঁকে কোর্টের মাধ্যমেই বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে আবারও ক্ষমতায় আসবেন এমন আশা করে তিনি বলেন, দেশের জনগণের প্রতি আস্থা আছে। তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করবে। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের জোট গঠনকে স্বাগত জানালেও তারা নির্বাচন চান কিনা তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি হুঙ্কার দিচ্ছে নির্বাচন করবে না। এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। বিএনপি যদি মনে করে নির্বাচন করবে না, তাহলে করবে না। এখানে তো আমাদের বাধা দেওয়ারও কিছু নেই বা দাওয়াত দেওয়ার কিছু নেই। এটাই পরিষ্কার কথা। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এত নামিদামি আইনজীবী, ব্যারিস্টার অমুক-তমুক রয়েছে। তারা কেন পারল না প্রমাণ করতে যে খালেদা জিয়া নির্দোষ, তারা এতিমের টাকা নেয়নি। তাহলে এখানে আমাদের দোষ দিয়ে লাভটা কী। তবে তাদের নেত্রী বন্দী হয়ে আছেন, তাদের আন্দোলন কই? তারা আন্দোলন করুক।

সংলাপের প্রশ্নই আসে না : নির্বাচন নিয়ে সংলাপ আয়োজন ও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির বেশ কিছু শর্তের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। ফোনও করেছিলাম। তিনি ধরেননি । খালেদা জিয়ার ছেলে (আরাফাত রহমান কোকো) যখন মারা গেল, তখন গেলাম, মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিল। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের সঙ্গে আমি আর আলোচনায় বসব না। তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না।  আমারও আত্মসম্মানবোধ আছে। আমি ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি।

ইভিএম তাড়াহুড়া করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না : জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ইলেকশন বিভিন্ন দেশেই হয়। ইভিএম দেশে নিয়ে আসার জন্য আমি সব সময় পক্ষেই ছিলাম। এখনো পক্ষে আছি। তবে এটা ঠিক, তাড়াহুড়া করে এটাকে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ এটা একটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার। আর এটা আমাদের পরীক্ষামূলকভাবে দেখতে হবে। শুরু হোক। আস্তে আস্তে মানুষ দেখুক। সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনে কিছু কিছু জায়গায় ইভিএমে ইলেকশন হয়েছে। সব থেকে সুবিধা হলো, মানুষ টিপ দিয়ে ভোটটা দিয়ে আসছে এবং সঙ্গে সঙ্গে রেজাল্টটা পেয়ে যাচ্ছে। ইভিএমের বিরুদ্ধে বিএনপির সোচ্চার থাকার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ইভিএম চায় না এ কারণে যে, তাদের কারচুপি করার একটা ভালো টেকনিক আছে। যে টেকনিক এখনো আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন, কিন্তু এখনো তারা ধরতে পারেননি। তিনি বলেন, তাদের অর্থের অভাব নাই। তারা সব কিনে ফেলতে পারে। ব্যালট একটা না একটা ওখানে হাতে পায়। সঙ্গে আরও দুইটা থাকে। ওই দুটো সিল মেরে ভরে তো একটা জমা দিলে টাকা পায়।  ইভিএম হলে তো ওই কারচুরি করতে পারবে না। একটার জায়গায় দুইটা-তিনটা সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরতে পারবে না, অনেক কিছুই পারবে না, সে জন্যই তারা আপত্তি জানাচ্ছে।

বিএনপি অগ্রাধিকার পায়, আমি চার নম্বরে : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমি কিছু কিছু রিপোর্ট পড়ছিলাম। তাদের আমলে দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়া, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু কাহিনী রয়ে গেছে। তাদের সৌভাগ্য মিডিয়া তাদের সব সময় ফেভার করে। আমি তো আপনাদের প্রত্যেকটা টেলিভিশনে হয় তিন নম্বর, নয় চার নম্বর, নয় পাঁচ নম্বর। ... সেখানে বিএনপি অগ্রাধিকার পায়। তারা পার্লামেন্টেও নেই। তারা বৈধ বিরোধী দলও নয়। যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র সেখানে যারা পার্লামেন্টে বিরোধী দল, তাদেরই বিরোধী দল হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু আমাদের মিডিয়ার কাছে এখনো তারাই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

খালেদা দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাক : শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) যেটা চাচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাদের তো কোর্টের মাধ্যমে আনতে হবে। আর যদি দ্রুত চান, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাবে। এটাই আমাদের সংবিধানের নিয়ম। তিনি বলেন, এই মামলাটা ১০ বছর চলেছে। এ রকম একটা মামলা কি ১০ বছর চলে কখনো? আমরা যদি বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতাম বা করতে চাইতাম তাহলে কি ১০ বছর লাগত? ১৫৪ বার তারিখ পড়েছে, তিনি যানই না কোর্টে। আজকে যদি অন্য কেউ এটা করত, তাহলে কী লিখতেন আপনারা? এখানে কিছু লোক থাকবে তারা চুরি করলেও ভালো, ডাকাতি করলেও ভালো, মানুষ খুন করলেও ভালো, তাদের কোনো কিছুতেই দোষ দেখে না। আমাদের দেশে এমন কিছু শ্রেণি আছে, হাজারো অপরাধ করলেও তাদের অপরাধ হয় না। আর আমাদের দোষটা কী? আমাদের পান থেকে চুন খসতে পারবে না, সবাই ধরবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আমার বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা দিয়েছিলেন। এরপর কেয়ারটেকার এসে দিল আরও চার-পাঁচটা মামলা। আমাকে চ্যালেঞ্জ দিল ওটা প্রমাণ করতে হবে। আমাকে বলল মামলাও তুলে নেই। আমি বলেছি তুলতে পারবেন না। সব তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। সেটাই করা হয়েছে। 

ড. কামাল গং কি আদৌ নির্বাচন চান : ‘নির্বাচন না-ও হতে পারে’ গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের এমন শঙ্কার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ড. কামাল গংরা কি আদৌ নির্বাচন চান? বাংলাদেশের একটা শ্রেণি বসে থাকে অন্যরা ক্ষমতা পেলে তারা একটা পতাকা পায়, তাদের কদর বাড়ে। ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ড. কামালও তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে তো দল দুটি। আওয়ামী লীগ এবং অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। এটা ভালো যে তারা জোট করেছে, সেটা থাক। ড. কামালের পকেটে সবসময় টিকিট থাকে। যাতে কিছু একটা হলেই বিমানে উঠে বিদেশ পাড়ি দিতে পারেন। বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়াও তাকে সম্মান দেননি। বঙ্গভবন থেকে বের করে রেললাইন দিয়ে দৌড় দেওয়ালেন। কাদের সিদ্দিকীও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু কে যেন বুদ্ধি দিল, রিজাইন করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে দাঁড়ালেন। ভাবলেন ভোট পেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন। পরে নৌকা ছেড়ে দিয়ে তিনি হেরে গেলেন। মান্না আমাদের পার্টি করতে এসেছিলেন। স্বস্তি বোধ করেননি। সারা জীবন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে লিখেছেন। আমি বললাম এত ভালো লেখেন, আপনার লেখার হাত ভালো। এতদিন বিপক্ষে লিখেছেন এবার পক্ষে লেখেন। তিনি লিখতেই পারেন না। লিখতে বললেই মান্না জুড়ে দেন কান্না। আর আ স ম আবদুর রব ছাত্রলীগ করতেন। তিনি ছাত্রলীগ থেকে চলে গেলেন। আমরা ছাত্রবেলা থেকেই বলতাম, সময়ে নীরব-অসময়ে সরব— এই হলো আ স ম আবদুর রব। যাই হোক, তাদের নেতৃত্বে জোট হয়েছে, থাক। অন্তত কনটেস্ট হবে। কারণ দেশে তো দুটো দল— একটি হলো আওয়ামী লীগ, আরেকটি এন্টি আওয়ামী লীগ। কাজেই এন্টি আওয়ামী লীগের তো একটা প্লাটফর্ম লাগবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেলেন। তাকে হত্যা করা হলো। এ দেশে সব সম্ভব। দিনের আলোয় গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে, গুলি করা হয়েছে, ৭৬ কেজি বোমা। বিমানের নাটবল্টুও খুলে গেছিল। তারপরও বেঁচে আছি। ’৭৫-এ আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। ১০ বছরের ছেলে রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছে। কেন হত্যা করা হলো, যাতে বঙ্গবন্ধুর বংশের রক্ত না থাকে। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। আমাকেও বার বার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বোমা হামলা, বুলেট ও গ্রেনেড থেকে এখনো বেঁচে আছি। আর বেঁচে আছি বলেই দেশের জন্য কাজ করছি। যতদিন বাঁচব দেশের জন্য কাজ করব— এটাই আমার বাবার কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছি। 

একশ বছরের ডেল্টাপ্ল্যান পরিকল্পনা করেছি : ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনাই শুধু নয়, আগামী একশ বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ চলছে, চলবে। কতদূর কাজ করলাম, কতটা করতে হবে, সেটা দেখা হবে। একশ বছর পর বাংলাদেশকে আমরা কোথায় দেখতে চাই, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর মাধ্যমে সেই পরিকল্পনাও আমরা করেছি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কী থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন হবে জোটবদ্ধ। নির্বাচনী ইশতেহারে তাই জোটের দলগুলোর মতামত প্রাধান্য পাবে। আমরা এর আগে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারকে বলেছিলাম দিন বদলের সনদ। সেটা শেষ হওয়ার নয়। আমাদের দিন বদলের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোনো সরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত করণীয় অনেক দূর এগিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমাদের কী করণীয়, তা প্রণয়নে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।

নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ওপর আস্থার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আগামীতে নৌকায় ভোট দিয়ে তারা বিজয়ী করবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়। তাদের মোকাবিলা জনগণ করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যে প্রকল্পগুলো শুরু করেছি, সেগুলো শেষ করতে পারব। তিনি বলেন, সরকারে আসতে পারলে শেষ করতে পারব। না আসতে পারলে আগে তারা যা করেছে তা-ই করবে। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। কোনো আফসোস নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার করেছি। যারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিচার করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক তদন্ত হয়েছে। একটা সময় আসবে যখন এদেরও বিচার হবে। 

মিথ্যা ছবি দিয়ে মিয়ানমারের বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার যা করেছে, তা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। নিজেরাই নিজেদের সম্মানটা খারাপ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে নিজেরাই নিজেদের অবস্থান খারাপ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনো চায়নি প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সংঘাতপূর্ণ অবস্থা তৈরি হোক। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আমরা সব সময় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমার কখনো আপত্তি করে না। বলে নিয়ে যাবে। এটা ঠিক, বাস্তবতা হলো, তারা বলে, কিন্তু করে না। পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আছে কিনা— এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে নতুন সরকার হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খেলা জীবনে অনেক ছক্কা মেরেছেন। এবার দেখা যাক রাজনীতিতে ছক্কা মারতে পারেন কিনা? তারা যদি আমাদের সহায়তা চায় তাহলে আমরা সহায়তা করব।

সর্বশেষ খবর