বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্টপেজ ছাড়া থামবে না বাস, হেলমেট ছাড়া তেল নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্টপেজ ছাড়া থামবে না বাস, হেলমেট ছাড়া তেল নয়

আমরা বাস থামানোর জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করেছি। এগুলোতে সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাইনবোর্ড লাগানো শেষ হবে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খোলা যাবে না। যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে বা উঠতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘ঢাকা মহানগরীতে মাসব্যাপী ট্রাফিক আইন প্রয়োগ ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের পর পুলিশ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনা নিয়ে কাজ করছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পেট্রল পাম্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হেলমেট না থাকলে তেল সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লেগুনা সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার কারণ। এখন থেকে আর কোনো লেগুনা চলতে দেওয়া হবে না। তবে শহরের উপকণ্ঠে লেগুনা চললে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। এ ছাড়া নিবন্ধন ছাড়া কোনো রিকশাও রাজধানীতে চলতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যতদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে, ততদিন পুলিশ কাজ করে যাবে। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা বেশি। তারা অনিয়মকে নিয়ম মনে করে। সবাইকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করতে সেপ্টেম্বর মাসে রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে। ট্রাফিক আইন না ভাঙতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, সড়কের তুলনায় যানবাহন বেশি হওয়ায় এবং বিভিন্ন স্থানে বড় বড় প্রকল্পের কাজের কারণে যানজট হচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইনগত প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। জাহাঙ্গীর গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে অন্য সড়কেও এই পদ্ধতি চালু করা হবে। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি চড়তে পারবে না। এক্ষেত্রে চালক ও আরোহীকে হেলমেট পরতে হবে। যত্রতত্র কেউ রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না। ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাশ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। চালকরা চুক্তিতে গাড়ি চালাবেন না। গত ট্রাফিক সপ্তাহে ৮৮ হাজার ২৯৩টি মামলা এবং ৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের পর ঢাকা মহানগরীর সড়কে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবেন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ, মাদক যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, তেমনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ৪০টি ট্রাফিক চেকপোস্টে গাড়ি চেক করা হবে। গাড়িতে অবৈধভাবে হাইড্রলিক হর্ন, হুটার/বিকন লাইট ও ফ্লাগ লাগানো থাকলে তা খুলে ফেরার অনুরোধ করেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরের বাসগুলোকে ৬টি কোম্পানির মাধ্যমে চালানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখ্য সচিবসহ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীতে বাস-বে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর