শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে দৃষ্টিনন্দন জাম্বুরি পার্ক

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে দৃষ্টিনন্দন জাম্বুরি পার্ক

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে চট্টগ্রামের আধুনিক দৃষ্টিনন্দন জাম্বুরি পার্ক। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নাগরিকদের যান্ত্রিকতার জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো আরও একটি দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটি গড়ে তুলেছে গণপূর্ত অধিদফতর। মূলত ওয়াকওয়ের বিশেষ সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। আগামীকাল বিকালে এ আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পার্কের উদ্বোধন করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য বিনা ফি-তে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এ পার্কটি।

জাম্বুরি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নূর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্থাপত্য অধিদফতরের নকশায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে জাম্বুরি পার্কের। এ জাম্বুরি পার্কের সীমানাপ্রাচীরের সৌন্দর্য বর্ধন ও ধোয়ামোছাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামীকাল পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সোনালু, নাগেশ্বর, চাঁপা, রাধাচূড়া, বকুল, শিউলি, সাইকাস, টগর, জারুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে পার্কে। নিরাপত্তার জন্য ১৪টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা হচ্ছে, পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং পার্কের ভিতর কোনো ধরনের বাণিজ্যিক দোকানপাট থাকবে না। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় এনে সড়ক থেকে তিন-সাড়ে তিন ফুট উঁচু করা হয়েছে পার্কটি।’ গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় আট একরের আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠজুড়ে গড়ে উঠেছে। পার্কটিতে গড়ে তোলা হয়েছে সাড়ে তিন ফুট গভীরতার অনেকটা অ্যামিবা আকৃতির বিশাল লেক। লেকের ধারেই পার্কের মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপন করা হয়েছে সুবিশাল ফোয়ারা। ওয়াকওয়েগুলোর স্বল্প পরিসরে রাখা হয়েছে বসার স্থান। বসার স্থানগুলো রয়েছে গাছের ফাঁকে ফাঁকে। জাম্বুরি মাঠের এই বিনোদন পার্ক এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকলেও বছর দুয়েক আগেও এ মাঠটি পরিত্যক্ত হিসেবে পড়ে ছিল। দিনের বেলায় স্থানীয়দের সবজি উৎপাদনের মাঠ হিসেবে ব্যবহূত হলেও মূলত মাদকসেবীদের আড্ডা ছিল এ মাঠে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ মাঠটি কৃত্রিম লেকের মাধ্যমে বিনোদন স্পটে পরিণত করেছে। লেকের দুই পাড়ে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ফুলের গাছ। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে শিউলি, নাগেশ্বর, সোনালু, টগর, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, রাধাচূড়া, কাঁঠালচাঁপা, বকুল, মৌ সন্ধ্যা, নয়নতারা, জারুলসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ। লেকের ধার দিয়ে চলে গেছে পায়ে চলার পথ, যা ব্যায়াম ও হাঁটার উপযোগী। রয়েছে ড্যান্সিং লাইট, দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা ও একাধিক ঝরনা। নির্মিত হবে ক্যাফেটেরিয়া, আকর্ষণীয় গ্লাস ব্রিজসহ ১৩৮টি সিটিং বেঞ্চ। থাকবে গণশৌচাগার ও গভীর নলকূল। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সীমানাপ্রাচীর ও ছয়টি প্রশস্ত গেট। থাকছে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর