মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অর্থ পাচারে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৯ জনের ১০ বছর করে জেল

আদালত প্রতিবেদক

মুদ্রা পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ৯ আসামির সবাই মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের  চেয়ারম্যান ও এমডির স্ত্রী নওরিন হাসিব, এমডির বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী ও রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান ও এস এম শোয়েব-উল-কবীর। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে। পরে তদন্ত শেষে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালে আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু করেন আদালত। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। জানা গেছে, একাধিক ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলায়মান চৌধুরীসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা করে দুদক। দুদক পরিচালক ইকবাল হোসেন রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউ মার্কেট থানায় এসব মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

ফালুর ভাতিজার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা : ৮ মিলিয়ন ডলার দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর ভাতিজা ও রোজা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী নাঈম উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বিশেষ পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন চিঠি দিয়েছেন। বিষয়টি কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্রাচার্য্য জানিয়েছেন। নাঈম উদ্দিন আহম্মেদ দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

সর্বশেষ খবর