বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জামিন পেলেন না আলোকচিত্রী শহিদুল

আদালত প্রতিবেদক

জামিন পেলেন না আলোকচিত্রী শহিদুল

রমনা থানায় করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এর আগে গত সোমবার হাই কোর্ট শহিদুল আলমের আবেদন গতকালের মধ্যে নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেয়। শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে আইনজীবী সারা হোসেন, এহসানুল হক ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, দরখাস্তকারী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। শহিদুল আলম একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী। বিশ্বের বরেণ্য ব্যক্তিরা তার মুক্তি চেয়েছেন। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না কিংবা সাক্ষীদের কোনোভাবে প্রভাবিত করবেন না। জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু ও শাহআলম তালুকদার বলেন, ‘শহিদুল আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত। একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। জঘন্য অপরাধ করেছেন।’ উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শহিদুলের জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত। জামিন শুনানির সময় শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদসহ স্বজনেরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলে কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন শহিদুল আলম। এ ছাড়া ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আসামি ‘কল্পনাপ্রসূত তথ্যের’ মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানো, উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি ঘটিয়ে’ জনমনে ‘ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে’ দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘অপপ্রচারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর