ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সংক্রান্ত প্রকল্পটি আগামী একনেক সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তবে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি একনেক সভায় তোলা হবে অনুমোদনের জন্য। আমাদের একদিন না একদিন ইভিএমে যেতে হবে। এটা মেকানিক্যাল ব্যাপার তাই সবার ট্রেনিং দরকার। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি হবে না, এ বিষয়ে আমি বলার কেউ নই, ইসি-ই সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে গতকাল ইভিএম প্রকল্প নিয়ে পিইসির (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হচ্ছে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের অধীনে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হচ্ছে। এতে প্রতি ইভিএমের দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা। এদিকে সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাব ইসির অনুমোদন পেয়েছে। তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে ইসি আশা করছে—আরপিওর সংশোধনী পাস হবে। এ জন্য সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে হলেও ইভিএম ব্যবহারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।