বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় সরকার আতঙ্কিত, ঈর্ষান্বিত ও বিব্রত। সেখানে নালিশ করতে যাননি মির্জা ফখরুল, গেছেন দেশের বাস্তবতা তুলে ধরতে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘গণগ্রেফতার ও বিচার বিভাগের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি’তে এক আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ এ দাবি করেন। সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির ভাইস  চেয়ারম্যান ডা. এ  জেড এম জাহিদ  হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন প্রমুখ বক্তব্য দেন। নালিশ করতে বিএনপির মহাসচিব নিউইয়র্কে গেছেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব নালিশ করতে জাতিসংঘে যাননি, তিনি বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে সেখানে গেছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে, কোনো কারণ ছাড়াই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হামলা, মামলা ও গুম করা হচ্ছে এসব অবস্থাই তিনি সেখানে তুলে ধরেছেন।’

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য অত্যন্ত খারাপ। তারা কোনো অবস্থাতেই সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। আওয়ামী লীগ এখনো মনে করছে, আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একদলীয়ভাবে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু এটা তাদের দুঃস্বপ্ন, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি এ দেশে আর হবে না।’ বিএনপির এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, ‘যত কথাই বলুক না কেন, সরকারকে সংলাপ করতে বাধ্য করা হবে। আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। সেই প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়েছি। সরকার সংলাপ না করলে রাজপথে তাদের জবাব দেওয়া হবে। কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে, তখন সরকার বাধ্য হবে সংলাপের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।’ মওদুদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। জাতীয় ঐক্য হবেই। ক্ষমতাসীনরা ছাড়া সব রাজনৈতিক দল আজ একটা প্রশ্নে একমত যে, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’