শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রংপুরে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত, আগেই তুলে নেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর নগরীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। নিহত শওকত হোসেন ঘুঘু ওরফে শওকত ঘুঘু (৩৮) নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওডোবা ডাঙ্গিরপাড় এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার ‘চিহ্নিত মাদক কারবারি’ এবং তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা, মাদক, সন্ত্রাসী ও ডাকাতি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক এএসপি খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রাধাকৃষ্ণপুর রহমতপাড়ায় মাদক কেনাবেচার খবরে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় মাদক কারবারিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শওকত হোসেন ঘুঘু মারা যান। এ ঘটনায় র‌্যাবের একজন সদস্য আহত হন বলে র‌্যাবের দাবি। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ২৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। কোতোয়ালি থানার ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ শওকত ঘুঘুর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে শওকত ঘুঘু বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে বলে র‌্যাবের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে নিহতের স্বজনরা।

শওকতের ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করেন, তার ভাই প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে ৫০ গজ দূরে বাসটার্মিনাল সংলগ্ন মাস্টারপাড়া মোড়ে আড্ডা দিতে যান। আমরাও সেখানে চা খেতে যাই। রাত সোয়া ৮টার সময় সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে সেখানে আসে। বাস থেকে নেমেই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে আমার ভাইকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সকালে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি।

সর্বশেষ খবর