শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেই কামরান এই কামরান

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সেই কামরান এই কামরান

সিলেটের রাজনীতিতে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান একজন অটল মহীরুহ। ১৯৬৮ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত কামরানের নির্বাচনী পদযাত্রা শুরু ১৯৭৩ সালে ওয়ার্ড কমিশনার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে। সর্বশেষ গেল জুলাইয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি। যদিও নির্বাচনের ফলাফল তার পক্ষে আসেনি, তথাপি কামরান আছেন আগের মতোই।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান অতীতে তিনবার ওয়ার্ড কমিশনার, পরবর্তীতে সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন তিনি। এরপর ২০০৮ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায়ও ফের মেয়র নির্বাচিত হন কামরান। কিন্তু সিসিকের তৃতীয় ও চতুর্থ নির্বাচনে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে যান তিনি। ২০১৩ সালে সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফের কাছে পরাজয়ের পর কামরান আশাহত হলেও ভেঙে পড়েননি। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সক্রিয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থেকেছেন কামরান। তার বাসার দরজা সবশ্রেণির মানুষের জন্য সবসময় ছিল উন্মুক্ত। সিলেট নগরীতে কোথায় কোন সমস্যা, তা অবহিত হয়ে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছেন কামরান। সিলেট মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে কামরান দলীয় প্রার্থীদের জন্য চষে বেড়িয়েছেন গোটা সিলেট বিভাগ।

 সম্প্রতি সিসিকের চতুর্থ নির্বাচনেও কামরান পরাজয় বরণ করেছেন। তবে তিনি দল কিংবা নেতা-কর্মীদের জন্য আগের অবস্থান থেকে সরে যাননি। পরাজয় তার জন্য বেদনার হলেও তিনি দলের জন্য কাজ করে চলেছেন। দলীয় কর্মসূচি ও নেতা-কর্মীদের আগের মতোই সময় দিচ্ছেন তিনি। তার বাসার দরজাও নগরবাসীর জন্য বন্ধ হয়ে যায়নি। সামগ্রিক বিষয়ে সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘আমি সারাজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করে এসেছি। মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি। নির্বাচনে হার এক বিষয় আর মানুষের জন্য কাজ করা অন্য বিষয়। নগরবাসীর পাশে আমি সবসময়ই ছিলাম, আছি, থাকব। আওয়ামী লীগের রাজনীতি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এই দলের জন্য আমৃত্যু কাজ করে যাব।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর