বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে ৩৮২৫ কোটি টাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার প্রকল্পসহ ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা

কামাল প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ১৪ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৮ হাজার ৮৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আর বিদেশি সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ২৫৭ কোটি ১ লাখ টাকা। এদিকে গত অর্থ বছরে (২০১৭-১৮) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭.৮৬ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ৭.৬৫ শতাংশ। জিডিপির এই চূড়ান্ত হিসাব একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনামন্ত্রী দেশের এ অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করতে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আজকে নির্দেশনা দিয়েছেন, এটা ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে হবে। আগে প্রশিক্ষণ নেন, শিখেন, শিখান; তারপরে ব্যবস্থায় যান। পর্যায়ক্রমে ব্যবহারের জন্য তিনি বলেছেন। মুস্তফা কামাল বলেন, তিনটি পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। যাতে কোনোভাবেই অপব্যবহার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরবান এলাকার মানুষজন শিক্ষিত, তারা জানবেন এ পদ্ধতি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। তিনি বলেছেন, লিমিটেড স্পেসে আরবান এলাকায় প্রথমে ব্যবহার করুন। এরপর গ্রাজুয়ালি সারা দেশে আস্তে আস্তে এর বিস্তার করবেন। স্থানীয় নির্বাচনে এখন ব্যবহার হচ্ছে; জাতীয় নির্বাচনের জন্য আরপিও সংস্কার করতে হবে; এরপর কমিশনই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে— বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মিরসরাই প্রথম পর্যায় প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর