জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কাউকে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারতে দেওয়া হবে না। কেউ ভোট ডাকাতি করতে চাইলে প্রতিহত করা হবে। জাতীয় পার্টি আর কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়িও হবে না। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার এক্সপো জোনে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এ সময় বক্তব্য রাখেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, আজম খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা শফিউল্লাহ আল মুনির আগামী নির্বাচনের জন্য তৈরি করা তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রচারণার বিভিন্ন বিষয়সহ এরশাদ আমলের নানান উন্নয়নের চিত্র বর্ণনা করেন।
এরশাদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, দলকে আরও সংগঠিত করতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করতে হবে। শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামল না এলে বাংলাদেশ অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকত। আমরা উন্নয়ন করেছি, আমরা লুটপাট করিনি। আমাদের শাসনামলে খুন, গুম, সন্ত্রাস ছিল না। আমরা মানুষ খুন করিনি। আমাদের হাতে রক্তের দাগ নেই। তাই দেশের মানুষ আমাদের ভালোবাসে। মানুষ আবারও জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়। এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচনে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর প্রচারণায় আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাব। নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করব। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করব, মানুষের মুখে হাসি ফোটাব আমরাই। ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর অমানষিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আমার মতো নির্যাতিত নেতা আর কেউ নেই। এত নির্যাতনের পরও শুধু আল্লাহর রহমত আর মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছি। মানুষ আমাদের ভুলে যায়নি, আমরা ক্ষমতায় যেতে এখন প্রস্তুত। এরশাদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে ৫০৮৮টি এবং আওয়ামী লীগ ৬০০০ মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু আমার নামের মামলাগুলো এখনো আছে। কারণ, জাতীয় পার্টিকে সবাই ভয় পায়, সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী অবস্থান আছে।
