শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি

দমনে সাফল্য থাকলেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ, বিদেশি যোদ্ধাদের বিচারে পর্যাপ্ত আইন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। দেশটির সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। এরপর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বহু সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বৈশ্বিক ওই প্রতিবেদনে গত বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার নীতি প্রস্তুতে সহায়তা করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও এসব হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিরা দায়ী বলে দেশটির সরকার বলছে কিন্তু ‘ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা’ এবং আইএস অন্তত ৪০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। এমনকি আইএসের প্রকাশনা, ভিডিও ও ওয়েবসাইটে বাংলাদেশি জঙ্গিদের এসব কর্মকাণ্ড প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের মার্চ মাসের তিনটি জঙ্গি হামলার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকায় র‌্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চেষ্টা, যাতে ওই হামলাকারী নিহত হয়। এ ছাড়া ঢাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা এবং সিলেটের আতিয়া মহলের দুটি বোমার বিস্ফোরণ, যাকে আইএসের ঘাঁটি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি পুরোদমে প্রয়োগ করছে দেশটির ফৌজদারি বিচার বিভাগ। যদিও বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের বিচারে দেশটিতে পর্যাপ্ত আইন নেই, তবে এরকম অপরাধীদের গ্রেফতার করে প্রচলিত অন্য আইনে বিচার করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ পাচার বিষয়ক এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সদস্য এবং জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তা সত্ত্বেও জঙ্গিদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার মতো জটিল অর্থনৈতিক মামলাগুলোর বিচার করার জন্য দেশটির সক্ষমতা যথেষ্ট নয়। সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারির প্রশংসা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করলেও এখনো দেশটি জঙ্গিদের কোনো নজরদারি তালিকা তৈরি করেনি। খবর বিবিসি বাংলা।

সর্বশেষ খবর