সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চলছে জল ঘোলা করার চেষ্টা

--------- কামাল লোহানী

জয়শ্রী ভাদুড়ী

চলছে জল ঘোলা করার চেষ্টা

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেছেন, ‘জাতীয়’ শব্দ বলতে দেশের সব জনগণ বোঝায়, এখানে তো আংশিক উপস্থিত। জাতীয় শব্দ তারা কেন ব্যবহার করছে তা-ই বুঝতে পারছি না। নির্বাচনের সময় একটা মুলা ঝুলানো হয়েছে। রাজনীতিতে জল ঘোলা করার জন্য এই ঐক্যের সৃষ্টি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন, এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব— এ চারজনের ফলোয়ার কয়জন। তাদের তো এতদিন কোনো তৎপরতা দেখিনি। তাহলে হঠাৎ কেন? নির্বাচনের সামনে মুলা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে লাফালাফি চলছে। দুঃখজনক, আমরা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই দেশের রাজনীতিটা এত তরল হয়ে গেছে। যেখানে যার যা খুশি সে তা-ই করছে। কোনো অধিকার নেই তাদের জাতীয় শব্দ ব্যবহার করার। তাদের ইচ্ছা হয়েছে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এখানে এটা জাতীয় ঐক্য কীভাবে হলো? তাদের ঐক্য নিয়ে দেশের কোনো পরিবর্তন হবে না, রাজনীতির কোনো রকমের হেরফের হবে না। জনগণের ওপরও এর কোনো প্রভাব পড়বে না। সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক ঐক্য আমরা অতীতে দেখেছি। তা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর ছিল। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট হয়েছিল হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে। তারা কি সেই নেতাদের মতো নিজেদের মনে করেন? তাদের জনপ্রিয়তা ছিল, মানুষের কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো সাধ্য ছিল। এই ঐক্য নিয়ে লাফালাফি করা লোকজন কি তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারবেন? মহানগর নাট্যমঞ্চে যে চিৎকার করে বক্তৃতা তারা করলেন, এই চিৎকার তাদের এতদিন কোথায় ছিল? যাদের সামনে চিৎকার করল তারা তো জামায়াত-বিএনপির লোক। যে জামায়াতকে পরিহার করার কথা তারা বলছেন তাদের সামনে বক্তৃতা করে বাহাবা নিয়ে আসছেন। সুতরাং এই জাতীয় ঐক্যের কোনো ফলপ্রসূ প্রভাব ভোটারদের ওপর পড়বে না, জনগণের ওপরও পড়বে না। রাজনীতিতে তারা জল ঘোলা করার সুযোগ পেয়েছেন। এখানে ভিনদেশি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চক্রের সমর্থন তারা পাবে। এটাই হয়তো তাদের এই লাফালাফির পেছনের শক্তি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর