মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দৃষ্টি এখন বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচে

মনপ্রাণ উজাড় করে খেলছেন আবুধাবিতে। কিন্তু নজর ছিল দুবাইয়ে। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে হারাতেই হবে আফগানিস্তানকে। জিতলে টিকে থাকবে সম্ভাবনা। এমন সমীকরণের ম্যাচে শতভাগের উপর উজার করে খেলছেন মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, ইমরুল, মুস্তাফিজরা। তারপরও দৃষ্টি ছিল দুবাইয়ে। সেখানে খেলা চলছিল দুই চির প্রতিপক্ষ ভারত-পাকিস্তানের। সেই ম্যাচের ফল মাশরাফিদের ফাইনাল খেলার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে বলেই দৃষ্টি পর্যটন নগরীতে। ম্যাচে ভারত হারলে পাকিস্তান চলে যেত ফাইনালে। স্বপ্নভঙ্গ হতো বাংলাদেশের। ভারতের জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের সমীকরণটা এখন এমনই হয়েছে। ভারতের জয় এবং আফগানিস্তানের হারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি হঠাৎই রূপ নিয়েছে সেমিফাইনালে। সেটা অবশ্য লিখিত নয়, অলিখিত। আগামীকাল আবুধাবিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি এখন অলিখিত সেমিফাইনাল। টাইগার শিবিরসহ সব ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ম্যাচটির দিকে। জয়ী দল এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে ২৮ সেপ্টেম্বর।

সুপার ফোরে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান হেরেছে ভারতের কাছে। ফাইনাল খেলতে জয়ের বিকল্প নেই। তাই ম্যাচটি ঘিরে এখন নতুন পরিকল্পনা মাশরাফি, স্টিভ রোডসদের। দুই দেশ এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ৩৫টি। বাংলাদেশের জয় সাকল্যে ৪টি। তাও আবার ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১৫ সালে। বাকি ৩১ জয় পাকিস্তানের। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে জয়ের পর টানা ২৫ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাটিতে তিন ম্যাচ সিরিজে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখি সাড়ে তিন বছর আগে। সিরিজের নায়ক ছিলেন তামিম। টানা দুই সেঞ্চুরি ছাড়া আরও একটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। হাতের কব্জি ভেঙে ফেলায় এশিয়া কাপের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে আসেন তামিম। তার অভাব পূরণ করতেই অদ্ভুত খেয়ালে টিম সাজাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। দুই অফ ফর্মের ওপেনার নিয়ে খেলছে ম্যাচগুলো। ভুক্তভোগীও হচ্ছে। তামিম রান করেছিলেন ১৩২, ১১৬ ও ৬৪*। রান করেছিলেন মুশফিকও। সেঞ্চুরি করেছিলেন একটি এবং একটি হাফসেঞ্চুরি। সিরিজে তার রান ছিল ১০৬, ৬৫ ও ৪৯*। সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য সরকারও। ১২৭ রানের ইনিংটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। তিন ব্যাটসম্যানের দুজন রয়েছেন দলের সঙ্গে। মুশফিক খেললেও হঠাৎ সুযোগ পাওয়া সৌম্যর এখনো মাঠে নামা হয়নি। আগামীকাল নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় একাদশে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মূল লড়াই হবে বাঁ হাতি পেসারদের বিপক্ষে। মোহাম্মদ আমির, জুনায়েদ খান, উসমানরা নিজেদের দিনে ভয়ঙ্কর। সাফল্য পেতে মাশরাফি বাহিনীর ওপেনারদের রান করতে হবে। তাহলেই সম্ভব। পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়েই এখন ভাবছেন টাইগার অধিনায়ক, ‘আফগানিসত্মান ম্যাচে অসাধারন খেলেছে সবাই। মুসত্মাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদুল্লাহ ও ইমরুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবাই যদি দায়িত্ব পালন করে খেলে থাকেন, তাহলে জিততে সমস্যা হবে না।’ দুদিনের বিশ্রাম নিয়েই আগামীকাল আবুধাবিতে অলিখিত সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

সর্বশেষ খবর