বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপিসহ ২১ দল নিবন্ধন ঝুঁকিতে

গোলাম রাব্বানী

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিল হতে পারে বিএনপিসহ ২১ রাজনৈতিক দলের। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধন বাতিলের ধারা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনীতির অঙ্গনে। নির্বাচন কমিশন বলছে, পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারায়।

এ অবস্থায় বিএনপিসহ ২১টি দলকে নিবন্ধন বাঁচাতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতেই হবে বলে মনে করছেন ইসির কর্মকর্তারা। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি ও দশম সংসদ নির্বাচনে ১২টি (১টি নতুনসহ) দল অংশ নেয়। পরে আরও ৪টি দল দশম সংসদের নানা উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে ইতিমধ্যে ঝুঁকি এড়াতে পেরেছে। বিএনপিসহ বাকি ২১টি দলকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নিবন্ধন বাতিলসংক্রান্ত ধারার কথা মাথায় রাখতে হবে। তারা বলেন, দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদের এইচ (১) ধারায়। এ ছাড়া নতুন ৩টি দল নিবন্ধন পাওয়ার পর কেবল দশম সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ফলে বাতিলের আলোচনায় এ দল ৩টি থাকছে হিসাবের বাইরে।

এদিকে টানা দুবার সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল ১টি আসনেও নির্বাচন না করলে নিবন্ধন আইন অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তবে আরও অনেক ক্রাইটেরিয়া থেকে যায়। তিনি জানান, কতগুলো দলের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার পরিসংখ্যান করা হয়নি। সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ৩০ অক্টোবরের পর যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ৪০ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি আমরা। তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে বলেন তিনি। সচিব জানান, নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্তকরণ ও প্রশিক্ষণ যথাসময়ে শুরু হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন না হলে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন করা হবে। ‘নিবন্ধন ঝুঁকিতে’ যে ২১ দল : বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।

সর্বশেষ খবর