শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রে চাই শক্তিশালী বিরোধী দল

মানিক মুনতাসির

গণতন্ত্রে চাই শক্তিশালী বিরোধী দল

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে কোনো বিরোধী দল নেই। জাতীয় পার্টি সরকারে অংশ নেওয়ায় সব সময় সুযোগ-সুবিধা চায় এবং একটু বেশিভাবেই চায়। তাই তারা বাস্তবেই কোনো বিরোধী দল নয়।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের কর্ণধার আজিজ খান সিঙ্গাপুরের সেরা ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। এতে অর্থ পাচার হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজি পাচার করে অনেকেই বিদেশে ঘাঁটি স্থাপন করেছেন। কিন্তু দেশ থেকে পুঁজি পাচারে এখন ভাটার সময় বলেই আমি বিশ্বাস করি। রবিবার সচিবালয়ের কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : মহাজোট সরকারের টানা ১০ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়েছে, দারিদ্র্য কমেছে, প্রবৃদ্ধি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আপনার কোনো অপ্রাপ্তি আছে কী?

অর্থমন্ত্রী : বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময়ে সত্যিকারভাবে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ উন্নয়ন দেশের সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। গ্রাম অথবা শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না। অর্থনীতির এ রকম একটি অবস্থান আমার কাছে আনন্দের বিষয়। আমাদের অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এবং পরামর্শে আমি একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পেরেছি বলে খুবই আনন্দিত। এ নিয়ে আমি প্রায়ই বলে থাকি, পূর্ববর্তী ৩০-৩৫ বছরের ব্যর্থতা এখন আমাকে মোটেই পীড়িত করে না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি আগে একাধিকবার বলেছেন, আর নির্বাচন করবেন না। আপনি পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চান?

অর্থমন্ত্রী : হ্যাঁ, আমি অনেকবার বলেছি, এবারের পর অর্থাৎ আমার ৮৫ বছর বয়সের পর আমি নির্বাচন করতে চাই না। তবে সবসময় একটি শর্ত যোগ দিয়েছি এবং সেটি হলো, প্রধানমন্ত্রী অথবা আমার দল চাইলে আমি তদানুযায়ী কাজ করব। আমি অর্থমন্ত্রী না থাকলে পরবর্তী অর্থমন্ত্রী কে হবেন সেটা আমার নির্ধারণের বিষয় নয়। এ সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নেবেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : গত ১০ বছরে ব্যাংক খাত নাজুক পর্যায়ে চলে গেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়। আপনি কী মনে করেন।

অর্থমন্ত্রী : এ অভিযোগের যথেষ্ট সারবস্তু আছে। আমাদের ছয়টি সরকারি ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলোয় নন-পারফর্মিং লোনের (খেলাপি ঋণ) হার খুব বেশি। ব্যক্তিমালিকানা খাতের ব্যাংকের ক্ষেত্রেও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই বড় বড় ঋণ সহজেই পেয়ে গেছেন। এখানে একটি অত্যন্ত অসৎ ব্যবস্থা আছে, যেখানে এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ পেয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রেই ঋণের বিপরীতে যথাযথ জামানত থাকে না। উপযুক্ত জামানত যাতে থাকতে পারে আমরা সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছি। এক সময় আমিই ব্যবস্থা করেছিলাম যাতে নন-পারফর্মিং লোনগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে অবসায়ন করা যায়। এখন সেই ব্যবস্থাটি অনুসরণ করা তত সহজ নয়। কারণ এখন নন-পারফর্মিং লোন এবং এর বিস্তার অনেক বেশি। ব্যাংক খাতের জন্য আমি একটি কার্যক্রম প্রণয়নের চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচনের পরই যাতে এ কার্যক্রম সূচনা করা যায়, সে ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার ইচ্ছা আমার রয়েছে। এক্ষেত্রে যেমন আমরা বলে দিতে পারি, নন-পারফর্মিং লোন একটি ব্যাংকের পোর্টফলিওর কত ভাগ সহনীয় হবে। তারপর আমরা ঠিক করে দিতে পারি, কত দিনের মধ্যে সমুদয় নন-পারফর্মিং লোনকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করতে আমি এখন প্রস্তুত নই।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দেশে একটা শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে আনফিট। নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। আগামী নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দল কারা হতে পারে?

অর্থমন্ত্রী : এটা শুধু আমার বিশ্বাস নয়, প্রত্যেক রাজনীতিবিদ চান, দেশে একটা শক্তিশালী বিরোধী দল কাজ করুক। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে কোনো বিরোধী দল নেই। জাতীয় পার্টি সরকারে অংশ নেওয়ায় সব সময় সুযোগ-সুবিধা চায় এবং একটু বেশিভাবেই চায়। তাই তারা বাস্তবেই কোনো বিরোধী দল নয়। তাদের সংসদ সদস্যরা সংসদে আমার শ্রাদ্ধ করেন। কিন্তু তারপরই আমার কাছে সহায়তা প্রাপ্তির জন্য হাজির হন। আমাদের দেশে একটি যথাযথ বিরোধী দলের ট্রাডিশন এখনো সৃষ্টি হয়নি। বিএনপি দল হিসেবে অত্যন্ত অপরিপক্ব। তাদের কোনো ইতিবাচক দর্শন নেই। তাদের বিরোধী ভূমিকা হলো একান্তই অরাজনৈতিক। অদূর ভবিষ্যতে যে এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে সেটা আমি আশা করি না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনাদের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্যগুলোর কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।

অর্থমন্ত্রী : আমি আপনার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে করি না। আমাদের মেগা প্রকল্প এ মুহূর্তে আছে মোট ১০টি। তার মধ্যে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প জাপানি সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজে কিছুটা বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া গেছে। এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ ব্যক্তিমালিকানা খাতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। রামপাল থার্মেল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজেও ব্রিটিশ সহায়তা প্রক্রিয়াধীন। শুধু সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখন আপনারাই বিচার করেন কেন আমি আপনার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে করি না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের বাজেটে কোনো ধরনের চাপ পড়ছে কিনা—

অর্থমন্ত্রী : রাখাইনের রোহিঙ্গা জাতি মিয়ানমারের মগদের অত্যাচারে আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। বহু বছর ধরেই আমরা প্রায় ৩-৪ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। এবার মিয়ানমারের দুর্বৃত্ত শাসকগোষ্ঠী প্রায় ৭-৮ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের সরকারের একটি মৌলিক নীতি হলো, নির্যাতিত যে কোনো আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দেওয়া। তাই এসব রোহিঙ্গা এখন আমাদের আশ্রয়ে আছেন। তাদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা একটি বিরাট অর্থনৈতিক চাপের সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিতাড়ন কেউই সমর্থন করেন না। যদিও সেক্ষেত্রে চাপ প্রদানেও কতিপয় শক্তি প্রস্তুত নন। তাদের ত্রাণ এবং সাময়িক পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেশ কিছু অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানে আমাদের বাজেটের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা আমরা করেছি। যদিও ত্রাণ এবং সাময়িক আশ্রয়ের খরচটি মোটামুটিভাবে বৈদেশিক সহায়তায় সম্পন্ন হচ্ছে। ভবিষ্যতের চাপ নিয়ে আমি চিন্তিত। কারণ তাদের নিজেদের দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থায় কোনো অগ্রগতি এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতেই হবে। মিয়ানমারকে এ জন্য রাজি হতে হবে, নয়তো রাখাইন এলাকা থেকে বিদায়ের জন্য মগদের প্রস্তুত হতে হবে। মগরা মিয়ানমারের আদি অধিবাসী নয়। তারা থাইল্যান্ডের দক্ষিণের অধিবাসী ছিল। সেখান থেকে ১৮৫০ সালে তারা রাখাইনদের দেশ মিয়ানমার দখল করে এবং তখন থেকেই তাদের বিতাড়নের জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়। তারা মিয়ানমারের প্রকৃত শত্রু।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বা ৩৫ করার দাবি প্রসঙ্গে কিছু বলুন।

অর্থমন্ত্রী : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বর্তমানে ৩০ বছর। সেটিকে ৩২ অথবা ৩৫-এ উন্নীত করার দাবি উঠেছে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত অন্যরকম। বিভিন্ন কাজের জন্য যে কোনো বয়সেই আমরা কাউকে সরকারি চাকরিতে নিতে পারি এবং সেজন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তি দিতে পারি। জীবনবেগী চাকরির জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করা দুটি ক্ষেত্রেই অপরিহার্য। চাকরিতে প্রবেশের বয়স এবং অবসরের বয়স দুটোই নির্ধারণ করা যথাযথ। তবে আমার ধারণা জীবনবেগী চাকরি অনবরত কমতে থাকবে এবং চুক্তিভিত্তিক চাকরি ক্রমেই বাড়বে। আমি মনে করি অন্তত ৩৫ বছর পর্যন্ত যে কোনো ব্যক্তি জীবনবেগী চাকরিতে যোগ দিতে পারেন এবং এই চাকরিতে অবসরের বয়স হতে পারে অন্তত ৬৫ বছর।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান?

অর্থমন্ত্রী : ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়ে দিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হব। ২০৩০ সালে মধ্যম আয়ের দেশের সর্বোচ্চে পৌঁছাব এবং ২০৪০ সালে একটি সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হব। এটি হবে শান্তির দেশ, সমৃদ্ধির দেশ এবং এখানে সমাজের গরিব এবং নিগৃহীতের জন্য থাকবে একটি উপযুক্ত সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম। রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল জনগণের অনুপাত হবে মোটামুটি ৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়লে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আশানুরূপ বাড়ছে না। এর জন্য করণীয় কী বলে আপনি মনে করেন?

অর্থমন্ত্রী : গত ১০ বছরে আমরা সরকারি খাতের বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণ বাড়িয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিমালিকানা খাতের বিনিয়োগ মোটামুটিভাবে ২১-২২ শতাংশে স্থবির থাকে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক অবস্থান ছিল অর্থাৎ হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদির ফলে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশই ছিল না। ২০১৫ সাল থেকে আমার মনে হয় বিশেষ করে শ্রমশক্তির চাপে এই হরতাল এবং জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির অবসান হয়। কিন্তু তারপরও বিনিয়োগ আগ্রহের পালে তেমন জোর লাগেনি। এখন ২০১৮ সালে বলা যায়, এ বিষয়ে এখন একটা স্বস্তির ভাব চূড়ান্ত হয়েছে এবং বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে। বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ কোনো দেশেই বাড়ে না যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশীয় বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। এখন আমরা সেই অবস্থানে আছি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশ থেকে পুঁজি পাচার হয়ে যাচ্ছে এটা অনেকের দাবি, আপনিও অনেক সময় এমন বক্তব্য দিয়েছেন। সম্প্রতি সামিট গ্রুপের কর্ণধার আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শ্রেষ্ঠ ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

অর্থমন্ত্রী : অনেকে দাবি করেন, দেশ থেকে পুঁজি পাচার হচ্ছে। তার মধ্যে যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে। পুঁজি পাচার হয় তখন যখন কোনো দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ থাকে। আমার মনে হয়, সেই অবস্থা বর্তমানে নেই। মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় বাড়ি নির্মাণ, দুবাইয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, সিঙ্গাপুরে আশ্রয় গ্রহণ— এসব এখন তেমন আকর্ষণীয় নয়। পুঁজি অবশ্যই পাচার হয়েছে। অনেকেই বিদেশে ঘাঁটি স্থাপন করেছেন। কিন্তু পুঁজি পাচারে এখন ভাটার সময় বলেই আমি বিশ্বাস করি। আধুনিক গ্লোবালাইজেশনের যুগে এটা এমন খুব বেশি কিছু নয় যে, কতিপয় ব্যক্তিবিশেষ আন্তর্জাতিক নাগরিক হবেন অথবা বিদেশে কোথাও পাড়ি দেবেন।

সর্বশেষ খবর