মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের দুই বিজ্ঞানী। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি। সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট গতকাল চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে জেমস পি অ্যালিসন ও তাসুকু হোনজোর নাম ঘোষণা করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে কেবল ২০১৮ সালেই বিশ্বে ৯৬ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হবে ক্যান্সার। অর্থনীতির ওপরও এ রোগের প্রভাব ব্যাপক। কেবল ২০১০ সালেই এ রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে ১.১৬ ট্রিলিয়ন ডলার। নোবেল কমিটি বলছে, জেমস পি অ্যালিসন ও তাসুকু হোনজোর মানবদেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দিপ্ত করে ক্যান্সার কোষকে প্রতিহত করার জন্য ‘ইমিউন চেকপয়েন্ট থেরাপি’ নামে যে পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন— তা ক্যান্সারের চিকিৎসায় ‘রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে’। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক তাসুকু হোনজো বলেন, ‘আমি আমার গবেষণা চালিয়ে যেতে চাই, যাতে এই থেরাপির মাধ্যমে আরও বেশি ক্যান্সার রোগীকে সারিয়ে তোলা যায়।’ জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তাসুকু হোনজো জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৮ সালে টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করা জেমস পি অ্যালিসন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারে অধ্যাপনা করছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যে প্রোটিনের কারণে ইমিউন সিস্টেম নিজের কোষের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকে, সেই প্রোটিনটি গবেষণার মাধ্যমে শনাক্ত করেন অ্যালিসন ও হোনজো। তারা ওই প্রোটিনের উৎপাদন বন্ধ করার পদ্ধতি খুঁজে বের করেন, যাতে ইমিউন সিস্টেম টিউমারকে আক্রমণ করে নির্মূল করতে পারে। এবার নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন জেমস পি অ্যালিসন ও তাসুকু হোনজো। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এদিকে আজ পদার্থ, কাল বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৮ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
