বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ

হাই কোর্টে জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার পরিবারের ছয় সদস্য। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে তারা নাজিম উদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে এলেও তারা মুখ খোলেননি। নিয়মিত সাক্ষাৎকারের অংশ হিসেবে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে আসেন বলে জানান কারা কর্তৃপক্ষ।  সাক্ষাৎ করতে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, খালেদা জিয়ার বড়  বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামিম এস্কান্দার, সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাগ্নি শাহিনা খান জামান, খালেদা জিয়ার ভাতিজা অভিক এস্কান্দার ও ভাগ্নে ডা. মামুন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ওই দিন থেকেই পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘একমাত্র বন্দী’ হিসেবে অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

কুমিল্লার ১ মামলায় হাই কোর্টে খালেদার জামিন আবেদন : কুমিল্লায় পেট্রলবোমা মেরে আট বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় জামিন পেতে আবার হাই কোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। গতকাল আদালতের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদনটি দায়ের করেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বিচারিক আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে। এরপর আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফায়েড কপি) চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রায় ২০ দিনেও আমরা আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাইনি। অথচ আদেশের এক দিন পরেই যা পেয়ে যাওয়ার কথা।

তিনি বলেন,  বিষয়টিতে আমরা বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেছি। চলতি সপ্তাহে হাই কোর্টের এ বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানান কায়সার কামাল। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে এবং তার কারাবাস দীর্ঘায়িত করতে বিচারিক আদালত আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে কালক্ষেপণ করছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন হলে এমন হতো না।’

বিএনপির টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রলবোমা হামলায় আট যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা করে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তর করা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও আরও কয়েকটি মামলার কারণে তার মুক্তি হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর