বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, আইনের বাইরে যাওয়া যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, আইনের বাইরে যাওয়া যাবে না

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নামে আমেরিকায় কেনা বাড়ির বিষয় খতিয়ে দেখছে দুদক। এ ছাড়া এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার করা মামলার নথি পাওয়া গেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। গতকাল বিকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, নাজমুল হুদার করা মামলার এফআইআর দেখে তদন্ত কর্মকর্তা বিচার-বিশ্লেষণ করবেন। আইনের বাইরে যাওয়া যাবে না। এ মামলায় কমিশনের উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন। প্রধান বিচারপতি থাকাকালে সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং খাস কামরায় ডেকে সোয়া তিন কোটি টাকা উেকাচ দাবি করেছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার হুদা। মামলাটি ‘দুদক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ’ মনে করায় দুদকে পাঠিয়ে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ। এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা কী করবেন, আমি বলতে পারব না। আমি অভিযোগ বিচার-বিশ্লেষণ এখনো করতে পারিনি। এটি আদালতের মাধ্যমে দুদকে এসেছে। আদালত কিছু না বুঝে আমাদের দেয়নি।’ দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন, তাহলে তিনি এস কে সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নেবেন। কীভাবে তা করা হবে তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন। তবে মামলার তদন্তে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার বাধ্যবাধকতা নেই।’ সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ আছে কিনা— জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দেশের আইনে সব ব্যবস্থা রয়েছে। আনার প্রক্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনে আছে। তবে এটা অনেক পরের বিষয়।’ ফারমার্স ব্যাংক থেকে নেওয়া দুই ব্যবসায়ীর ঋণের চার কোটি টাকা এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়াসংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এ অনুসন্ধানে যার নাম আসুক বা যে-ই জড়িত হোক, আমরা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেব।’ এ ছাড়া এস কে সিনহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের (গণমাধ্যম) থেকে পাওয়া তথ্যে দুদক জানতে পেরেছে, আমেরিকায় দুই লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারে একটি বাড়ি কেনা হয়েছে। আমরা যতটুকু বুঝেছি, দুই বছর আগে যখন কোনো ব্যক্তি কোনো দেশে যান, এই সময়ে তার পক্ষে নাগরিক হওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু তিনি নাগরিক হতে পারেননি, সেহেতু তার অবৈধ সম্পদ দেখার বিষয়টি আমাদের দায়িত্ব। সে কারণে অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

সর্বশেষ খবর