বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবী যা বললেন

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন : রেজাউর

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যে হামলা চালানো হয়, তা শুধু এদেশেই নয় বিশ্বের ইতিহাসেও বিরল। যু্দ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর হামলার ঘটনা আর কোথাও ঘটেনি। তিনি বলেন, এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে দীর্ঘ বিচারের মাধ্যমে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন অপরাধ ঠেকাতে এসব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গত রবিবার এক আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ বুধবার চাঞ্চল্যকর এই মামলা দুটির রায় ও আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। রায় নিয়ে নিজের প্রত্যাশার বিষয়ে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, আমরা বিচারপ্রার্থী মানুষের পক্ষে লড়েছি। বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন। আমি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো প্রমাণ করেছি সন্দেহের ঊর্ধ্বে থেকে। প্রত্যাশা করছি, আইনের বিধান অনুযায়ী এ মামলায় যেন সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করা হয়। মামলা দুটিকে বারবার নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেদিন (২১ আগস্ট, ২০০৪) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপ্রিয়, নিরস্ত্র, গণতন্ত্রকামী মানুষের একটি প্রতিবাদ সভা ছিল। সেই শান্তিপূর্ণ সভায় আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সমর্থক, কর্মী, নেতা, সাংবাদিক, আইনজীবী, দর্শক, শ্রোতাসহ শত শত মানুষ আহত হন এই হামলায়। তিনি বলেন, এই মামলা বিএনপি-জামায়াত ঐক্যজোটের সময় তদন্তকালে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। একজন বিচারপতির অনুসন্ধানে এটাকে পার্শ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্রের মদদে হামলা বলেও প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। এ মামলাটি নিজের জীবনের অন্যতম গুরুত্ব পূর্ণ মামলা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, দুটো বড় মামলা রয়েছে আমার এই পেশাগত জীবনে। একটি হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা। আরেকটি হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আমি ছিলাম প্রসিকিউটর। তখন চিফ প্রসিকিউটর ছিলেন মরহুম প্রখ্যাত আইনজীবী শিরাজুল হক। ২১ আগস্ট মামলায় আমি চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করছি। এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চান না জানিয়ে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ন্যায়বিচার বিনষ্ট করার প্রবণতা হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংগঠিত অপরাধ জাতীয় পর্যায়ের। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য এবং শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একটি সংগঠিত অপরাধ করা হয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে।

সর্বশেষ খবর