শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হলো প্রথম মামলা, আসামি ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সকালে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।

এর আগে, ভুয়া প্রশ্নপত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বুধবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাজলার পাড় ও দনিয়া থেকে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্টার খাতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৯টার দিকে বাড্ডার আলিফনগর থেকে তিনজনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার কালাম গাজীর ছেলে কাউসার গাজী, চাঁদপুরের মতলব উপজেলার জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার হাসানুর রশীদের ছেলে তারিকুল ইসলাম শোভন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আলমের ছেলে রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য) ও টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আনসার আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান ইমন। সিআইডি কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, প্রশ্ন ফাঁসকারী এই প্রতারক চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজীকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, বর্তমানে আমরা প্রশ্ন ফাঁস করতে পারছি না। তাই নিজেদের মতন করে প্রশ্ন তৈরি করে বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ১০০% গ্রান্টি প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে আসছে।

এবার সিআইডিতে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’ : এবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাংগঠনিক কাঠামোতে যোগ হয়েছে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’ নামে নতুন ইউনিট। এই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩৪২টি নতুন পদ সৃষ্টি এবং ৪৯টি যানবাহন যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখা-৩ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ৩৪২টি পদের মধ্যে স্থায়ী ৩০টি ক্যাডার পদ, অস্থায়ী ৩১২টি পদ সৃষ্টিসহ এই প্রজ্ঞাপনে ৪২টি যানবাহন দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়। এর মধ্যে থাকছে— ডিআইজি একজন, অতিরিক্ত ডিআইজি দুজন, এসপি তিনজন, অতিরিক্ত এসপি ছয়জন, এএসপি ১৮ জন, ইন্সপেক্টর ৪৫ জন, এসআই ১৪০ জন, এএসআই ৩০ জন, কনস্টেবল ৭৫ জনসহ সর্বমোট ৩২০ জন। এ ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিস্টেম এনালিস্ট, প্রোগ্রামার, মেইন্টেইন্স ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার অপারেটরসহ অন্যান্য ২২ জন। নবগঠিত সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের জন্য নির্দেশিত ৪৯টি যানবাহনের মধ্যে রয়েছে জিপ ১২টি, পিকাআপ ১৪টি, মাইক্রোবাস একটি, বড় বাস একটি, মিনিবাস একটি, মোটরসাইকেল ২০টিসহ সর্বমোট ৪৯টি যানবাহন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, নবগঠিত এই ইউনিট সাইবার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে। এ ছাড়া সাইবার অপরাধ মনিটরিং, প্যাট্রলিংসহ এ সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ করবে।

সর্বশেষ খবর