শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
গার্মেন্ট রপ্তানি

হলদিয়া ও কলকাতা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিল্লির

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। এ উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উপকূলীয় পণ্য পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ী হবে। স্থলপথে পণ্য বহন ব্যয় পরিহার করে বাংলাদেশি গার্মেন্ট রপ্তানিকারকদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যজট এড়িয়ে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে পৌঁছার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রস্তাবটির পুনরুক্তি করা হয়েছে। হলদিয়া বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধার্থে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ডেক ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করেছে।

গত চার বছরে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটায় তা ৯১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। একই ধারায় উপকূলীয় বহনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় পণ্য আনা-নেওয়াও বেড়েছে। চলমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দুই দেশের মধ্যে প্রায় চার হাজার কনটেইনার আসা-যাওয়া করে। ২০১৭-১৮ বছরের তুলনায় এটা ৩৭০০ কনটেইনার বেশি। তবে সমস্যা হলো, বাংলাদেশ থেকে পণ্য এসেছে খুবই কম। সক্ষমতার চেয়ে কম হারে ব্যবহার করায় ঢাকার কাছে পানগাঁও টার্মিনাল ও কলকাতার মধ্যকার উপকূলীয় পণ্য পরিবহনের মাত্রা বাড়ানো যায়নি।

পণ্যজটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০-১২ দিন অপেক্ষা করা, তারপর সড়ক পথে পরিবহন আনুষঙ্গিক ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেয়। এখন ঢাকা যদি নয়াদিল্লির প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা পানগাঁও থেকে পণ্য নিয়ে এসে তা হলদিয়ায় অপেক্ষমাণ কলম্বো ও সিঙ্গাপুরগামী জাহাজে উঠিয়ে দিতে পারবেন। সমগ্র প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে বড়জোর তিন কি চার দিন।

সর্বশেষ খবর