শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশহিতৈষী সফল ব্যবসায়ীর প্রতিকৃতি

তোফায়েল আহমেদ

দেশহিতৈষী সফল ব্যবসায়ীর প্রতিকৃতি

জহুরুল ইসলাম

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম পথিকৃৎ ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় জনাব জহুরুল ইসলামের আজ ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। উদার হৃদয়, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সুন্দর মনের অধিকারী, মানবতার সেবক এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও সমাজসেবায় জহুরুল ইসলাম ছিলেন প্রকৃত অর্থেই সোনার মানুষ। তাঁর শৈশবের নামও ছিল ‘সোনা’। ঘনিষ্ঠজনেরা তাঁকে ‘সোনা ভাই’ বলেই সম্বোধন করতেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে পরমাদরে ‘ইসলাম সাহেব’ কখনো বা ‘হাজী সাহেব’ বলে ডাকতেন। ক্ষণজন্মা এই মানুষটির স্মৃতির প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। জনাব জহুরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলহাজ আফতাব উদ্দিন আহাম্মদ এবং মাতা রহিমা আক্তার উভয়েই দানশীলতা ও বদান্যতার কারণে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের হৃদয়ে পরম শ্রদ্ধার আসনে সমাসীন। সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনের শেষ প্রান্তে ১৯৯৫ সালের ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে তথা ১৯ অক্টোবর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে দেশহিতৈষী সফল ব্যবসায়ী জনাব জহুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে জহুরুল ইসলাম ছিলেন আমার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে থাকার দুর্লভ সৌভাগ্যের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ-ভালোবাসায় আমার জীবন সিক্ত। জনাব জহুরুল ইসলামকে আমি ছাত্রজীবন থেকেই চিনি। বঙ্গবন্ধু জহুরুল ইসলামকে ভালোবাসতেন এবং শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধু যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি, কারাগারে বন্দী, ফাঁসির মঞ্চে দণ্ডায়মান, কঠিন দুঃসময়ের সেই দিনগুলোতে জহুরুল ইসলাম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা ’৬৯-এ যখন গণআন্দোলন সংগঠিত করি,- ১৭ জানুয়ারি আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম, ২০ জানুয়ারি আসাদ, ২৪ জানুয়ারি মতিয়ুর-মকবুল-রুস্তমের রক্তের বিনিময়ে যে সর্বব্যাপী গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আইয়ুবের তখতে তাউস কেঁপে উঠেছিল- তখন জহুরুল ইসলাম সাহেব আমাদের পাশে ছিলেন। আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি আমাদের তেমন কোনো অর্থের প্রয়োজন ছিল না। নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ জীবনযাপন করে আমরা রাজনীতি পরিচালনা করেছি। তখনকার রাজনীতি ছিল আদর্শের রাজনীতি। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আদর্শ সামনে নিয়েই আমরা এগিয়েছি। তার পরও জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এত বড় একটি গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে আমাদের কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল। যারা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী-শুভানুধ্যায়ী তাঁরা ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ করে টাকা দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছিলেন। জহুরুল ইসলাম একমাত্র ব্যক্তি যিনি সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন। সেদিনের ২০০০ টাকা ছিল অনেক টাকা।

আমি জহুরুল ইসলাম সাহেবের কাছে যখন গিয়েছিলাম তিনি আমায় আদর করে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আমি এই আন্দোলনের জন্য কী করতে পারি?’ বিনীতভাবে বলেছিলাম, শুধু দোয়া করলেই হবে। তিনি আমাকে বুকে টেনে নিয়ে দোয়া করে পকেটে ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন। এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে ফাঁসির মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে সারা বাংলায় যে আন্দোলন আমরা ছাত্রসমাজ সংগঠিত করেছিলাম তাতে খরচ হয়েছিল সর্বমোট ২২ হাজার টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ আমাদের ১০০, ২০০ টাকা করে অর্থসাহায্য করেছিলেন এবং আমরা ৫ টাকা, ১০ টাকার কুপন বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করেছি। ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক মুক্তিলাভ করেছিলেন এবং ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে আমরা জাতির জনককে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। এত বৃহৎ ও মহৎ এক আন্দোলন যেখানে সমগ্র জাতি জেগে উঠেছিল সেই আন্দোলনে জহুরুল ইসলাম সাহেব আমাদের পাশে থেকে অভয় দিয়ে ছায়া হয়ে থেকেছেন।

’৬৯-এর গণআন্দোলনের পরে যখন বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকতে শুরু করি তখন দেখতাম জহুরুল ইসলাম প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আসতেন। বঙ্গবন্ধু গভীর আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কথা বলতেন। আমার দেখা মতে, বঙ্গবন্ধুর যখন অর্থের প্রয়োজন হতো, জহুরুল ইসলাম সাহেব বঙ্গবন্ধুর কাছে এসে তা দিয়ে যেতেন এবং এই বিষয়টা আমি চিরদিন মনে রাখব।

জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্বে যেমন ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে কারাগারে অন্তরিন নেতা-কর্মীদের মামলার খরচ বহন; ৫২ (ক) ধারায় কুখ্যাত এবডো আইনে আটক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মামলাসংক্রান্ত যাবতীয় খরচপত্রের উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি বহন করেছেন। এ ছাড়া আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তথা ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’দের রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আইনি লড়াইয়ের খরচ বহনে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। ’৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনেও তিনি বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগকে বৈষয়িক ও নৈতিক সহায়তা প্রদান করেছেন। বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে তাঁর এসব সহায়তার কথা পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হয়েছিল বলেই মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ’৭১-এর ৩ এপ্রিল জহুরুল ইসলামকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাঁর বাসভবন থেকে প্রথমে গ্রেফতার ও পরে নির্যাতন করে। তাঁরই প্রতিষ্ঠানের একজন পশ্চিমা কর্মচারীর সহায়তায় পরে তিনি মুক্তিলাভ করেন। এরপর জুনের ১০ তারিখ দেশত্যাগ করে লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে ছুবেদ আলী ছদ্মনামে জনাব আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কাজ করেন।

জহুরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। ব্যক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি ছিলেন সৃজনশীল। আজকে আমাদের যে উত্তরা ব্যাংক এটি আগে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন। পাকিস্তান আমলে বাঙালি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের তৎকালীন ব্যাংকগুলো অর্থসহায়তা দিত না। ফলে শিল্প-কলকারখানা স্থাপন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাঙালি ব্যবসায়ীরা পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারত না; যা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে জহুরুল ইসলাম সাহেবের মনঃকষ্টের কারণ হয়েছিল। এজন্য তিনি জাতির জনকের পরামর্শে ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর যখন ব্যাংকগুলো জাতীয়করণ করা হয় তখন ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন উত্তরা ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আরও পরে তিনি আইএফআইসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।

তাঁর মতো এমন দূরদৃষ্টি, বেগবান এবং সক্রিয় শক্তিসম্পন্ন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা আমাদের সমাজে বিরল ও ব্যতিক্রম। আজকে দেশের অন্যতম বৃহৎ লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি যেভাবে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে,- ’৭৩-এ জহুরুল ইসলাম সাহেব ঠিক এরকমভাবেই সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করতে আমার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর সচিব শ্রদ্ধেয় রফিকউল্লাহ চৌধুরীর বাসায় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তিনি আমাদের বুঝিয়ে বলেছিলেন, ‘ভারত থেকে কনভেয়ার বেল্টের ওপর দিয়ে লাইমস্টোন এনে আমি দেশে সিমেন্ট উৎপাদন করতে চাই।’ কিন্তু তিনি তা করে যেতে পারেননি। তাঁর সেদিনের সেই ভাবনার বাস্তব রূপায়ণ ঘটেছে। দেশে আজ লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট কারখানা অনুরূপভাবে সিমেন্ট উৎপাদন করছে। লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট কারখানায় জহুরুল ইসলাম সাহেবের পরিবার তথা তাঁর সুযোগ্য সন্তান জনাব মঞ্জুরুল ইসলাম অংশীদার। বর্তমানে দেশজুড়ে যে রমরমা হাউজিং ও গৃহায়ণ ব্যবসা চলছে, এ ব্যবসাটি তিনিই সর্বপ্রথম আরম্ভ করেন এবং সাফল্য লাভ করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে তিনি অনুসরণযোগ্য একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন। সত্ভাবে জীবনযাপন করতেন। অতি সাধারণ-নিরাভরণ জীবন ছিল তাঁর। আমি বহুবার তাঁর বাসভবনে গিয়েছি, দেখেছি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কর্মচারীদের নিয়ে বাসায় ফ্লোরে বসে একসঙ্গে আহার করছেন! এরকম দৃশ্য আমি আর কোথাও দেখিনি। আমার মানসপটে ভেসে ওঠে ’৯৫-এ যখন আমি কলকাতা গিয়েছিলাম সে সময়ের কথা। সেখানে তাজ-বেঙ্গল হোটেলে ছিলাম। তিনিও একই হোটেলে উঠেছিলেন। দেখা হলে বিনম্র অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আমাকে ডিনারের আমন্ত্রণ করলেন। আগেই তাঁর খাবারের অর্ডার দেওয়া ছিল এবং সেটি হালাল ফুড। পৃথিবীর যেখানেই যেতেন সেখানেই তিনি হালাল ফুড খুঁজতেন এবং এভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি একজন ধার্মিক ও দয়ালু মানুষ ছিলেন। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। দরিদ্র মানুষজনকে অকাতরে সাহায্য করতেন। জন্মস্থান বাজিতপুরের বহু মানুষ তাঁর কল্যাণেই সম্পদশালী হয়েছে। দেশের মানুষ যাতে চিকিৎসাসেবা পায়, সেজন্য তিনি বাজিতপুরে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাজিতপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত পোলট্রি ফার্মটি দেশের অন্যতম বৃহৎ পোলট্রি ফার্ম।

জহুরুল ইসলাম সাহেবের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন জাতীয় সংসদে জহুরুল ইসলাম সাহেবের নাম উচ্চারণ করে কৃতজ্ঞতাসহকারে স্মৃতিচারণা করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠা কন্যা শেখ রেহানার যখন বিয়ে হয়, তখন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠা কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভারতে। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি যেতে পারেননি। কিন্তু জহুরুল ইসলাম সাহেব লন্ডনে অনুষ্ঠিত সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি তাঁর স্নেহ-ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি তাঁর দরদ ছিল অপরিসীম। আমার মনে আছে, ’৭৮-এ আমি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যখন তাঁকে সালাম দিতে গিয়েছিলাম, তখন আমাকে বুকে টেনে আদর করে আমার হাতে কিছু টাকা তুলে দিয়েছিলেন। আমাদের তখন শূন্য অবস্থা, ভয়ানক দুর্দশা। এমন দুর্দশাকর অবস্থায় দল পরিচালনার জন্য তিনি নিয়মিত আমাদের অর্থ সাহায্য করতেন। জহুরুল ইসলাম সাহেব খাঁটি বাঙালি ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ী সমাজের তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

বিদেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেছেন। বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর অবর্তমানে তাঁর একমাত্র পুত্র মঞ্জুরুল ইসলাম বাবলু এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে যে কী ভালোবাসতেন তা আজও আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তিনি যখন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেতে ৩২ নম্বরের বাসভবনে আসতেন, তখন আমাদের মন্ত্রিপরিষদের যেসব সদস্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকতেন, বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিদায় করে জহুরুল ইসলাম সাহেবের সঙ্গে একান্তে কথা বলতেন। জহুরুল ইসলাম সাহেব একজন বিনয়ী, পরমতসহিষ্ণু, সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, অর্থবান বা বিপুল সম্পদশালী হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসা-বাণিজ্যের বাইরে রাজনীতি বিষয়ে বা নির্বাচন করার ব্যাপারে কোনো দিন আগ্রহ ব্যক্ত করেননি। তাঁর এ গুণটি আজকের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে দুর্লভ। আমি এই পরিবারের কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। সারা জীবন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব।

লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, বাণিজ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

[email protected]

সর্বশেষ খবর