সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন সাজার রায়ের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে আজকে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে সরকারি জুলুম অব্যাহত রয়েছে। অনেক জায়গায় বাধাও দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় রিজভী আহমেদ শ্যামলী সিনেমা হলের কাছে সড়কে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন। পুলিশ আসার আগেই দ্রুত মিছিল শেষ করে নেতা-কর্মীরা সরে পড়েন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে কয়েকটি থানায় কালো পতাকা মিছিল বের করার চেষ্টা করে বিএনপি। উত্তরা পূর্ব ও উত্তরখান থানা বিএনপির একটি কালো পতাকা মিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। ওয়ারী থানা বিএনপি নেতা মো. রাহাত ও লালবাগ থানা বিএনপি নেতা মো. সেলিমসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি হামলায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয় একটি মিছিল। কাফরুল, ভাষানটেক থানার একটি কালো পতাকা মিছিল কাজীপাড়া রোকেয়া সরণিতে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পুলিশি তৎপরতায় এগোতে পারেনি। বংশাল থানার সভাপতি তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাইজু ও সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি মিছিল আলুবাজার হয়ে নর্থসাউথ রোড প্রদক্ষিণ করে সুরিটোলা স্কুলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কালো পতাকা মিছিল ঝাউচর চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে কোম্পানীঘাট এসে শেষ হয়। কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নাইমের নেতৃত্বে একটি মিছিল আসানউল্লাহ ঘাট থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামনগর গিয়ে শেষ হয়। ডেমরা থানা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিন রতন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কালো পতাকা মিছিল হাজীনগর আড়িয়াল রোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ব্রিজে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া কদমতলী, কলাবাগান, নিউমার্কেট, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, ওয়ারী, চকবাজার, লালবাগ, হাজারীবাগ, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, রমনা, পল্টন ও মতিঝিল থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় মিছিল বের করে। একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার একটি কালো পতাকা মিছিল মোহাম্মদপুর বাস টার্মিনাল থেকে বসিলা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সী বজলুল বাছিদ আঞ্জ, সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম মতিন, দফতর সম্পাদক এ বি এম এ রাজ্জাক অংশ নেন। তেজগাঁও, শেরেবাংলানগর ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার একটি কালো পতাকা মিছিল কারওয়ানবাজারের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কাজী মজিবুর রহমান, মো. তোফায়েল আহমেদ, সোহেল, কাজী বাবুসহ থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা। এ সময় কালো পতাকাসহ এক কর্মীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পল্লবী, রূপনগর, মিরপুর, দারুসসালাম, শাহআলী থানা বিএনপির যৌথ কালো পতাকা মিছিল মিরপুর মাজার রোডে অনুষ্ঠিত হয়। বাড্ডা ও ভাটারা থানার একটি কালো পতাকা মিছিল বাড্ডা লিংরোডে অনুষ্ঠিত হয়।  এ ছাড়া খিলক্ষেত, দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর থানা বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রামপুরা ও হাতিরঝিল থানার একটি কালো পতাকা মিছিল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়।  তুরাগ ও উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির একটি কালো পতাকা মিছিলে তুরাগ থানার সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালামসহ থানা ও ওয়ার্ডের সব নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর