মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকারি চাকরি আইন সংবিধান পরিপন্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরি আইন সংবিধান পরিপন্থী

ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতির বিধান রেখে খসড়া ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ধারাটি বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী। কারণ একই অপরাধে জড়িত হলে সাধারণ নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য যেখানে পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই সেখানে কোনো বিশেষ মহলের জন্য পূর্বানুমতির বিধান সংযুক্ত করা আইনের চোখে সব নাগরিকের সমান অধিকারের যে সাংবিধানিক বিধান তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আইনটি এভাবে পাস হলে বর্তমান সরকারের আমলেই প্রণীত ও বাস্তবায়নরত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সঙ্গেও এটি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হবে। তাছাড়া, উল্লিখিত ধারাটি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারার সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক, যেখানে আমলযোগ্য অপরাধে জড়িত থাকলে, বা জড়িত থাকার ব্যাপারে মামলা হলে বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য বা সন্দেহ থাকলেও বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংসদে উত্থাপিত খসড়া এই আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পূর্বানুমতি গ্রহণের যে বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে তা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সততা, স্বচ্ছতা, উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থী ও উদ্বেগজনক হবে। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উল্লিখিত বিধান রেখে আইনটি পাস হলে বাস্তবে সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিরোধ দূরে থাকুক, আইনের ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধ সুরক্ষা পাবে ও এর ব্যাপকতা বাড়ার ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাবে। এমন বাস্তবতায় এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন যা এতদিন আলোর মুখ দেখেনি, বর্তমান অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে এটি অনুমোদিত হলে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সাময়িক সুবিধার জন্য কিনা এরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে।

সর্বশেষ খবর