একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মী ও দলীয় এমপিদের নির্বাচনী গাইডলাইন দেবেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্বাচনী বার্তা দিতে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে ডাকা হয়েছে আওয়ামী লীগের যৌথ সভা। এ সভায় দলের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত এবং নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকারসহ নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও পার্লামেন্টারি পার্টির সদস্যরা অংশ নেবেন।
সূত্রমতে, আজকের যৌথ সভায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নিদের্শনা দেবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া যে কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত রুখে দেওয়া, ফাঁদে পা না দিয়ে সংঘাত থেকে দূরে থাকা, তফসিল ঘোষণার আগেই কেন্দ্র কমিটি ও পোলিং এজেন্ট চূড়ান্ত করা এবং নির্বাচনের দিন শেষ পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকাসহ বেশকিছু দিকনির্দেশনা দেবেন তিনি। দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল বলেন, ‘শুক্রবার (আজ) আমাদের যৌথ সভা হবে। সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।’ সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে তুলনামূলক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি নয়, সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, ভোট বর্জন করে বিএনপি গত নির্বাচনে যে ভুল করেছিল এবার তা করবে না। তারা ভোটে অংশ নেবে। ফলে নির্বাচন চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।