সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদার মুক্তির সিদ্ধান্ত আদালতেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদার মুক্তির সিদ্ধান্ত আদালতেই

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছে, তার কারামুক্তির বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। সমঝোতা হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব কিনা বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটি কথা বলতে পারি, খালেদা জিয়ার মামলায় তাকে আদালত সাজা দিয়েছে। তার মুক্তির ব্যাপারে আদালতই সিদ্ধান্ত দেবে। ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনারা ইলেকশন কমিশনের কাছে তফসিল পেছানোর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এখন আমি যদি বলি, এটা সংবিধান পরিপন্থী, তাহলে তো এ চিঠিটা যাদের কাছে পৌঁছবে তাদের জবাব দেওয়ার সুযোগ আর দিলাম না। মন্ত্রী বলেন, তফসিল পেছানো না পেছানো ইলেকশন কমিশন বিবেচনা করবে এবং আমার বিশ্বাস সংবিধানে যেটা আছে সে অনুপাতে ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচনকালীন সরকারে ঐক্যফ্রন্টের কাউকে রাখার সিদ্ধান্ত আছে কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন বর্তমানে যে সরকার রয়েছে সেটাই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। এর কারণ হচ্ছে যে ডেভেলপমেন্টের কাজগুলো শুরু করা হয়েছিল এ সরকারের আমলে সেটা যেন কোনো মতেই ব্যাহত না হয় সেটা তিনি অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত তৃতীয় অরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ২১ বছর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দূরে থাক বিচার পাওয়ার মতো কথা বলার সাহস আমাদের ছিল না। বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না এবং ছিল না বিচারিক আদালতের কাছে যাওয়ার। আমরা অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখানে পৌঁছেছি। ২০০৭ সালের পূর্বে আজকের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসি কমবেশি প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে একই সঙ্গে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের কাজ করতে হতো। ফলে বিচারপ্রার্থীদের বিচার পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এ জন্য বিচার বিভাগ আলাদা করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের এখন সস্পূর্ণ জুডিশিয়াল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর