মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইসি-ঐক্যফ্রন্ট বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এটা সম্ভব নয়। গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল এই অনুরোধ জানায়। তবে ইভিএম প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।  সূত্র জানায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বৈঠকে বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো অনাস্থার কথা বলতে আসেননি। তবে এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। এ সময় তিনি ইভিএম বাতিলের অনুরোধ জানান। বলেন, ইভিএম নিয়ে সমস্যা আছে। এ সময় নেদারল্যান্ডস, দিল্লিসহ কয়েকটি দেশের উদাহরণ তুলে ধরে মান্না বলেন, ‘এটা দিয়ে ডিজিটাল কারচুপি করা যায়। এটা বাতিল করা উচিত।’ মান্নার বক্তব্যের জবাব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আপনাদের (রাজনৈতিক দল) ওপরও তো জনগণের আস্থা নেই। তাছাড়া ইভিএম নিয়ে বড় বড় কথা বললেই তো হবে না, বাস্তবে দেখতে হবে।’ সিইসির এই বক্তব্যের পর মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ।’ বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় নয়, ভিতরে গলার আওয়াজ এমনই ছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ প্রমুখ। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এ সময় অপর চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, এর আগে প্রতিনিধি দলের প্রধান আ স ম রব নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালে নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন বিষয়ে কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দেখা গেছে, অতীতের নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

সর্বশেষ খবর